প্রচারে চোপরার তৃণমূল প্রার্থী হামিদুল রহমান, ছবি - অর্ণব দত্ত
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে উত্তর দিনাজপুরের চোপরা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন হামিদুল রহমান। চলতি নির্বাচনে চোপরা বিধানসভা কেন্দ্রে ফের তৃণমূল প্রার্থী হামিদুল রহমান। প্রার্থীর দাবি, এবারও তাঁর জয়ই নিশ্চিত।
একসময় সিপিএম করতেন হামিদুল রহমান। বাম আমলে ২ বার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হয়েছেন। এরপর দলের সঙ্গে বিরোধের জেরে কংগ্রেসে যোগদান। ১৯৯৬ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে সেবছর পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর ২০০১ সালে চোপরা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে জয়লাভ করেন। পরে ২০০৬ সালে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ফের জয়লাভের পর ২০০৭ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন হামিদুল রহমান।
ভোর হতেই প্রচারে বেরিয়ে পড়ছেন হামিদুল রহমান। রাত ১০টা, সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলছে লাগাতার প্রচার। তৃণমূল প্রার্থী হামিদুল রহমান জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গত ১০ বছরে বাংলা জুড়ে উন্নয়নের যে কাজ হয়েছে, সে কথাই তুলে ধরছেন প্রচারে। তাঁর কেন্দ্রে গত ৫ বছরে ১৮০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে বলে প্রার্থীর দাবি।
চলতি নির্বাচনে জয়লাভ করলে উন্নয়নের কাজ অব্যাহত থাকবে বলে ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী হামিদুল রহমান। তাঁর কথায়, এবার জিতলে এলাকায় একটি গার্লস কলেজ তৈরির পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এছাড়া দমকল কেন্দ্র গঠন করা হবে এবং এলাকার রাস্তাঘাটের সংস্কার করা হবে। মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে আছেন বলেই দাবি হামিদুল রহমানের। প্রচারে ভাল সাড়া পাচ্ছেন বলেও জানালেন তিনি।
চোপরা বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিপিএম এবং বিজেপির প্রার্থীও। তবে তাঁদের ধর্তব্যের মধ্যেই আনতে চাইছেন না তৃণমূল প্রার্থী হামিদুল রহমান। তিনি জানালেন, বিজেপিকে নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন। কারণ এলাকায় বিজেপির কোনও ভিত্তিই নেই। ২০১৮ সালে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখানে খুব ভাল ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গ্রাম পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতি বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। উল্লেখ্য, চোপরা বিধানসভা কেন্দ্রটি দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
তৃণমূল প্রার্থী হামিদুল রহমানের অভিযোগ, বিজেপি নেতারা লাগাতার মিথ্যা কথা বলছেন। তাঁর কেন্দ্রের ভোটাররাও বিজেপির ওপর অত্যন্ত ক্ষুব্ধ বলে দাবি তৃণমূল প্রার্থীর। ভোটবাক্সে এর প্রভাব পড়বে বলেই আশাবাদী তিনি।
৫৭ বছর বয়সী হামিদুল রহমান সকালে ব্রেকফাস্ট খেয়ে প্রচারে বেরচ্ছেন। দুপুরে কোনও দলীয় কর্মীর বাড়িতে লাঞ্চ সারছেন। গভীর রাতে বাড়ি ফিরে বরাদ্দ রুটি-তরকারি। আগামী ২২ এপ্রিল চোপরা বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।