প্রচারে হরিণঘাটার তৃণমূল প্রার্থী নীলিমা নাগ, ছবি - অর্ণব দত্ত
হরিণঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রটি তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী নীলিমা নাগ গত ১০ বছর ধরেই এলাকার বিধায়ক। কেন্দ্রটি বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
১৯৭৭ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত হরিণঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রে ধারাবাহিকভাবে জয়লাভ করেছে সিপিএম। এরপর রাজনৈতিক পালাবদল হয় বাংলায়। হরিণঘাটা বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে আসে। আগামী ১৭ এপ্রিল বিধানসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফায় এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে।
তৃণমূল প্রার্থী নীলিমা নাগের বয়স ৬২ বছর। স্বামী সোমেন কুমার নাগ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সমাজসেবী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। কংগ্রেস করতেন তিনি।
নীলিমাদেবী জানালেন, ২০০৩ সালে নিহত হন সোমেনবাবু। স্বামীর উৎসাহে ১৯৯৩ সালে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, এরপর ৯০-এর দশকে ২ দফায় দুবরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসাবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন নীলিমা নাগ।
ভোর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রচার করছেন হরিণঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী নীলিমা নাগ। জানা গেল, প্রচারের শেষে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক। মোটে ৩-৪ ঘণ্টা ঘুমোচ্ছেন।
নীলিমাদেবীর প্রচার মূলত বিজেপি সরকারের জনবিরোধী নীতিগুলির বিরুদ্ধে। তাঁর কটাক্ষ, বিজেপি দাবি করছে সোনার বাংলা গড়বে। বিজেপি আগে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি সোনা দিয়ে গড়ুক, তারপর না হয় সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখাবে।
মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারে নীলিমাদেবী বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলা ভাষাকে বিকৃতভাবে উচ্চারণ করছেন। বিজেপি যে একটি প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনৈতিক দল, গোটা ভারতের মানুষ তা উপলব্ধি করছেন বলেও মানুষকে জানাচ্ছেন নীলিমা নাগ।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গত ১০ বছর রাজ্যজুড়ে যে উন্নয়নের কাজ চলেছে, আগামী দিনেও তা অব্যাহত থাকবে বলে এলাকার জনসাধারণকে আশ্বস্ত করছেন তৃণমূল প্রার্থী। মানুষের কাছ থেকে ভাল সাড়া পাচ্ছেন বলেও দাবি করলেন নীলিমা নাগ।
একসময় ঘরকন্নার কাজ আর একমাত্র কন্যাকে মানুষ করাই ছিল সারাদিনের রুটিন। নীলিমাদেবী জানান, স্বামীর প্রেরণাতেই রাজনীতিতে এসেছিলেন। সেই দায়িত্ব আজও পালন করছেন।
হরিণঘাটা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৯ জন প্রার্থী। নীলিমা নাগ জানালেন, কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীকেই খাটো করে দেখছেন না। আর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে তিনি হ্যাটট্রিক করবেন বলে আশাবাদী ২ বিধায়ক।