State

মোদী ভিশন ও স্থানীয় স্তরে উন্নয়নকে সামনে রেখে লড়াইয়ে বিজেপি প্রার্থী

বাংলায় বিজেপি সরকার গড়লে বেকার সমস্যা দূরীকরণের উপর জোর দেওয়া হবে। কেন্দ্রের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত করা হবে।

Published by
Arnab Dutta

২০১৬ সালে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ৮ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। এরপর গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে বিজেপির ব্যাপক সাফল্যের পর ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে অশোকনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তনুজা চক্রবর্তী নিজের জয় নিয়ে আশাবাদী।

২০১১ এবং ২০১৬ সালে অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। এবার তৃণমূল প্রার্থী নারায়ণ গোস্বামীর সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী তনুজা চক্রবর্তীর লড়াই জমে উঠেছে।

রাজ্য বিজেপির নেত্রী তনুজা বললেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর ২০১৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেইসময় মোদীর ভিশন সম্পর্কে বাংলার মানুষের কাছে যথেষ্ট খবরাখবর ছিল না। পরবর্তীকালে মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পগুলির দেশজোড়া সাফল্যের জেরে গত লোকসভা নির্বাচনে সারা বাংলায় ১৮টি আসনে জয়লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। সেই নিরিখেই ভালো ফলের আশা করছেন তনুজা।

তনুজার দাবি, এছাড়া ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মাত্র ৩ জন প্রার্থী জয়লাভ করেছিলেন। সেটাও সেই সময় মোদীর কাজের সাফল্য সম্পর্কে যথাযথ প্রচার না হওয়ার জন্যই।

তনুজা জানালেন, বাংলায় বিজেপি সরকার গড়লে কেন্দ্রের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত করা হবে।

কেমন চলছে প্রচার? উত্তরে তনুজা বললেন, বাংলায় বিজেপি সরকার গড়লে বেকার সমস্যা দূরীকরণের উপর জোর দেওয়া হবে। অশোকনগর থেকে ছেলেমেয়েরা সামান্য টাকায় কল সেন্টারগুলিতে চাকরি করতে যাচ্ছেন। কলকাতা যাওয়া আসার খরচই পোষাচ্ছে না। জিতলে স্থানীয় স্তরে শিল্পায়নের ওপর গুরুত্ব দেবেন তিনি।

তনুজার অভিযোগ, বিজেপি কর্মীদের প্রচারের কাজে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি অশোকনগর-কল্যানগড় পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে তৃণমূল আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তনুজা।

পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, আইএসএফ প্রার্থী তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনকে তাতাচ্ছেন। অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি বর্তমানে উত্তেজক।

জানা গেল, সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লাগাতার প্রচার চালাচ্ছেন তনুজা। দুপুরের খাওয়া পার্টি অফিসে। মেনুতে থাকছে ভাত, ডাল এবং ভাজা। সকালে চা-বিস্কুট খেয়ে প্রচারে বেরচ্ছেন। হালকা খাবার খাচ্ছেন রাতে।

গল্পের মুডে তনুজা চক্রবর্তী জানালেন, মেয়ে মহাশ্বেতা একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার পাইলট। একসময় সংসার সামলেছেন। এখন রাজনীতিই তাঁর ধ্যানজ্ঞান।

Share
Published by
Arnab Dutta

Recent Posts