Categories: State

চতুর্থ দফায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ

Published by
News Desk

ভোট সন্ত্রাসের হাত থেকে রেহাই পেল না সাড়ে তিন বছরের শিশুও। অভিযোগ হালিশহরের একটি পরিবারের ওপর রবিবার রাত থেকেই হামলা শুরু করেছে তৃণমূল। রাতে বাড়িতে ঢুকে তাদের মারধরও করা হয়। ভোট দিতে না যাওয়ার জন্য শাসানোও হয়। গৃহকর্ত্রী তো মার খানই, সেই সঙ্গে তাঁর সাড়ে তিন বছরের শিশুকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। যদিও এরপরও সাহস হারাননি ওই মহিলা। এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা বলয়েই সন্তানকে নিয়ে ভোট দিতে যান তিনি। ভোটও দেন। মহিলার এই সাহসী পদক্ষেপের তারিফ করেছেন এলাকার মানুষজন। এদিকে এদিন সকালে ভোট শুরুর পরই খড়দহ এলাকার কয়েকটি পাড়া থেকে অভিযোগ আসতে শুরু করে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে অভিযোগ করা হয় যে তাঁদের ভোট দিতে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি থেকে বার হতে দেওয়া হচ্ছে না। দ্রুত পদক্ষেপ করে বাহিনী। পাড়ায় পাড়ায় ঢুকে সকলকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আশ্বস্ত করেন জওয়ানরা। তাঁরা থাকতে কেউ কোনও ক্ষতি করতে পারবে না বলেও আশ্বাস দেন তাঁরা। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের সতর্কও করেন তাঁরা। এদিকে দিনভরই উত্তপ্ত ছিল মিনাখাঁ। সকালেই খড়িবাড়ি স্কুলে এক বাম এজেন্টকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপর বেলার দিকে ৫১ নং বুথে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের জন্য প্রিজাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ তিনি তাঁর বুথে শাসক দলের হয়ে ভোট করাচ্ছিলেন। দুপুরের দিকে তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষের জেরে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সিপিএম কর্মীদের মারে এক তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহত হন বলে অভিযোগ। পরে সেখানে শান্তি মিছিল করে তৃণমূল। মিছিলে অংশ নেন এলাকার মহিলারা। যদিও তাতে যে বিশেষ কাজ হয়নি তা বিকেলেই পরিস্কার হয়ে যায়। মিনাখাঁর মালঞ্চ জেলেপাড়ায় বুথ দখলকে কেন্দ্র করে উত্তাপ ছড়ায়। অবস্থা আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিকেলের দিকে উত্তেজনা ছড়ায় ডানলপের খালসা স্কুলে। অভিযোগ বরানগরের আরএসপি প্রার্থীর হয়ে বুথে বসা এজেন্টকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় তৃণমূল কর্মীরা। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Share
Published by
News Desk