শীত কবে পড়বে, সেনিয়ার-এর গতিবিধির ওপর নির্ভর করছে সবকিছু
অগ্রহায়ণ মাস চলছে। হেমন্তের পরশ আকাশে বাতাসে। হালকা শীতের অনুভূতি। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে ভালভাবে শীত পড়বে কবে। সেটা নির্ভর করছে সেনিয়ারের ওপর।
ভোরের দিকে কুয়াশার চাদর। রাত এবং ভোরে একটা আলতো শীতের পরশ। অনেক বাড়িতেই রাতে ফ্যান চলছে না। বন্ধ এসি। বরং রাত বাড়লে পাতলা একটা চাদর টেনে নিচ্ছেন অনেকেই। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শীতের পরশ আরও খানিক বেশি।
সেখানে অনেক পরিবারে আরও মোটা পোশাক গায়ে চড়েছে। তবে শীত বলতে যা বোঝায় তা এখনও দক্ষিণবঙ্গে প্রভাব ফেলেনি। কবে পড়বে শীত? নভেম্বরের প্রায় শেষে পৌঁছে এ প্রশ্ন অনেকের। এই শীত কবে পড়বে, তার উত্তর কিন্তু লুকিয়ে আছে বঙ্গোপসাগরে।
বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে। গত মাসে ঘূর্ণিঝড় মন্থা দক্ষিণ ভারতে তার দাপট দেখিয়েছে। এবার যে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হচ্ছে সেটি কোন পথে এগোয় তার ওপর দক্ষিণবঙ্গে শীত আগমনের সময়সূচী নির্ভর করে আছে।
আবহবিদেরা জানাচ্ছেন এখনই নতুন তৈরি হতে চলা ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ারের গতিবিধি বোঝা যাচ্ছেনা। যদি দেখা যায় সেটি পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করল তাহলে দক্ষিণবঙ্গে শীতের প্রবেশ অনেকটাই বিলম্বিত হবে। উল্টে বরং গরম বাড়বে।
ফলে এখন যেটুকু শীতল পরশ পাওয়া যাচ্ছে তাও পাওয়া যাবেনা। আর যদি তা দক্ষিণ ভারতের দিকেও যায় তাহলেও তার পরোক্ষ প্রভাব পড়বে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায়। তখনও শীত ঢুকতে বাধা পাবে।
তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হবেনা। এখন তাই দেখার যে সেনিয়ার কোন পথে স্থলভাগে প্রবেশ করে। তার ওপর দক্ষিণবঙ্গে শীত আগমনের ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা













