অসহ্য গরম হাওয়া, আবহাওয়া দফতর জানাল না, বরং জানল নতুন কথা
গরম বেড়েই চলেছে। অসহ্য গরম থেকে রেহাই পাচ্ছেনা বহু দেশ। ভারতও সেই তালিকার অংশ। আবহাওয়া দফতর জানায় গরমের কথা। এবার তারা জানাল না, বরং জানল অন্য কথা।
অসহ্য গরম বিশ্বজুড়েই এক দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের হাত ধরে ক্রমে বদলে যাচ্ছে পৃথিবী। গরম কেমন হবে, কবে তাপপ্রবাহ, কবে পারদ কতটা চড়বে, এসব তথ্য মানুষকে জানায় আবহাওয়া দফতর। আগে থেকে সতর্ক করে।
কিন্তু এবার তারা জানাল না, বরং জানল অন্য কথা। জানল মানুষের কথা। তাপপ্রবাহ যে বইছে, তা আর আবহাওয়া দফতরের জানানোর অপেক্ষা করছেননা মানুষ। তাঁরা নিজেরাই তা হাতেনাতে অনুভব করছেন। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসের অপেক্ষা নয়, ভারতের ৭০ শতাংশ মানুষ নিজেই অনুভব করেছেন তাপপ্রবাহের জ্বলন।
ক্লাইমেট চেঞ্জ কমিউনিকেশন-এর ইয়েল প্রোগ্রামের একটি রিপোর্ট ভারতের ৭০ শতাংশ মানুষের ব্যক্তিগত অনুভূতি সামনে এনেছে। ২০২২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে মানুষের তাপপ্রবাহ নিয়ে অভিজ্ঞতার তথ্য সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে একটি ক্লাইমেট ওপিনিয়ন ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে।
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তৈরি এই ম্যাপ আগামী দিনে সেখানকার মানুষের সুবিধার্থে রাজ্য ও স্থানীয় নেতৃত্বকে একটি স্পষ্ট ধারনা দেবে। তাতে সেখানকার মানুষকে এই গরমের হাত থেকে রক্ষা করতে আগাম কি পরিকল্পনা করা দরকার তা তাঁরা স্থির করতে পারবেন। তাও সেখানকার মানুষের আশু চাহিদার কথা মাথায় রেখে।
এতে তাঁদের ওই স্থানের জন্য আগাম কি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন তা তাঁদের কাছে পরিস্কার হয়ে যাবে। কারণ প্রতিটি জায়গার ভৌগলিক অবস্থান সেখানকার আবহাওয়ার ওপর প্রভাব ফেলে। সেখানকার গরমের অনুভূতি ও গরমের চরিত্রকে আলাদা করে।
ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশের ৭৮ শতাংশ মানুষ অসহ্য তাপপ্রবাহের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। রাজস্থানে সেই শতাংশটি ৮০। আবার হরিয়ানাতেও ৮০ শতাংশ মানুষের এই ভয়ংকর গরমের সম্মুখীন হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অন্যদিকে কেরালার ৫৫ শতাংশ মানুষের এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। তামিলনাড়ুর ৫২ শতাংশ মানুষের এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা













