SciTech

নষ্ট বাসা, সন্তান নেই, কমছে কলরব, আকাশ থেকে হারিয়ে গেছে ওদের ৩৮ শতাংশ

এ দুনিয়া কি আর সকলের বাসযোগ্য আছে। এ প্রশ্ন বারবার উঠছে। নীল আকাশের বুকে রঙিন ডানা মেলা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই কমেছে ৩৮ শতাংশ।

১৯৫০ সালেও যাদের কলরবে মোহময় হয়ে থাকত প্রকৃতি, যাদের রঙিন ডানা মিলেমিশে একাকার হয়ে যেত নীল আকাশের বুকে, মন ভাল করা সকাল, ক্লান্ত দুপুর যাদের ডাকে মানুষকে বিভোর করত, সেই পাখিদের দুর্দিন ক্রমশ প্রকট হচ্ছে।

ক্রান্তীয় অঞ্চলের পাখিদের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। ১৯৫০ থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৮ শতাংশ পাখি হারিয়ে গেছে পৃথিবীর বুক থেকে। এমনই মন খারাপ করা খবর দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন গবেষক।

তাঁরা জানাচ্ছেন বিশ্ব উষ্ণায়ন এমনভাবে ক্রান্তীয় অঞ্চলে প্রভাব ফেলেছে যে এখানে ক্রমশ তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। যা গত ৭৫ বছরে বাড়তে বাড়তে অনেক পাখির সহ্য সীমা ছাড়িয়েছে।


অনেক পাখির এই ভয়ংকর গরমে শরীরের নানা অঙ্গ বিকল হয়ে যাচ্ছে। সেখানেই শেষ নয়। মানুষও কম যায়না। একে বাড়তে থাকা গরমের সঙ্গে লড়াই করে তারা বাঁচার লড়াই চালাচ্ছে। তারওপর মানুষ আবার গাছপালা কেটে বাড়িঘর বানাচ্ছে। ক্রমশ কমছে তাদের শান্তির নীড়। এমনকি পাখির বাসা পর্যন্ত নষ্ট হচ্ছে হয় গাছ কাটায় অথবা গরমে শুকিয়ে।

পক্ষীশাবকরাও গরম সহ্য করতে পারছেনা। এমনকি পাখিদের প্রজনন প্রক্রিয়াও এই গরমে প্রভাবিত হচ্ছে। তারা সন্তানধারণের ক্ষমতা হারাচ্ছে। ডিম হলেও তা ফুটে বাচ্চা হচ্ছেনা। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ডিম।

এভাবে ইতিমধ্যেই বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। ৩৮ শতাংশ ক্রান্তীয় অঞ্চলের পাখি পৃথিবীর বুক থেকে মুছে গেছে। অবিলম্বে তাদের রক্ষার ব্যবস্থা না করলে হয়তো একদিন আকাশের বুক থেকে চিরদিনের মত মুছে যাবে ডানার ঝাপটানি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *