গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীর। যা দেখার আশায় বহু পর্যটকও ডুব দেন সমুদ্রের তলায়। এটাও একটা পর্যটন। এটা দেখতে পাওয়া জীবনের একটা অভিজ্ঞতা। সমুদ্রের নিচে ২ হাজার ৩০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তাদের সংসার।
রংয়ের বাহার এই প্রবাল প্রাচীরকে অপরূপ করে। জীব বৈচিত্র্যের এ এক অনন্য নিদর্শন। অস্ট্রেলিয়ার সেই গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ বা প্রবাল প্রাচীর এমন এক পরিস্থিতির শিকার যা যে কোনও মানুষের জন্যই চিন্তার।
২০২৪ সালে সমুদ্রের জলের উত্তাপ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে ওই প্রবাল প্রাচীরে, বিশেষ করে দক্ষিণ অংশে তার ব্যাপক প্রভাব পড়ে। কার্যত জলের সেই উত্তাপ সহ্য করতে পারেনি প্রবালের সংসার। অনেক প্রবাল গরম সহ্য করতে না পেরে সমুদ্রের তলায় নষ্ট হয়ে যায়।
গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা শুরু হয়েছিল ১৯৮৬ সাল থেকে। প্রতিবছরই তার যাবতীয় তথ্য রেকর্ডে রাখা হয়। হিসাব বলছে ৩৯ বছরের মধ্যে জলের উত্তাপে প্রবাল প্রাচীরের এমন ক্ষতি আগে কখনও দেখা যায়নি। এটা অবশ্যই চিন্তার কারণ।
অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে ৪০০ রকম প্রবালের বাস। যা বিশ্বের আর কোথাও দেখা যায়না। এত বিশাল প্রবাল প্রাচীর আর কোথাও নেই। যা ওই অংশের বাস্তুতন্ত্রকেও সামলে রাখে।
এবার বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি গরমে প্রশান্ত মহাসাগরের জলের উত্তাপ বৃদ্ধি প্রবাল প্রাচীরকেও ধ্বংস করা শুরু করে দিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা