World

অসময়ে লাগামছাড়া তাপপ্রবাহ, এ কোন অশনিসংকেত

এমন অসময়ে এমন তাপপ্রবাহ অচেনা। তাই এখন ত্রাহি ত্রাহি রব। মানুষ আর সহ্য করতে পারছেন না এই অচেনা গরমকে। তবে কি এটা কোনও অশনিসংকেত?

এমন অসময়ে এমন তাপপ্রবাহ কখনও কেউ দেখেননি। তাপপ্রবাহটাই তো এখানে অচেনা। পারদ ৪০ ডিগ্রি পার করবে এটা তাঁরা কখনও স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। কিন্তু এখন দেখছেন। সহ্য করতে হচ্ছে। আর যাঁরা তা সহ্য করতে পারছেন না তাঁদের অচিরেই ছেড়ে যেতে হচ্ছে ইহজগৎ।

জীবনকাড়া এই গরমে কার্যত হাঁসফাঁস করছে ইউরোপ। ইউরোপ শুনলেই মনে হয় এক ঠান্ডার জায়গা। যেখানে অসহ্য গরম বলে কিছু হয়না। কিন্তু সেই ইউরোপের একটা অংশ এখন গরমে পুড়ছে। একের পর এক তাপপ্রবাহ আছড়ে পড়ছে।

যেটা আবহবিদদের আরও অবাক করছে সেটা হল যে গরমের আবহটা জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে অগাস্ট মাসে দেখা যায়, সেই গরম এবার তাপপ্রবাহের চেহারা নিয়ে জুনের মাঝেই আঘাত হেনেছে। একমাস আগে থেকেই গরমের অচেনা স্পেল শুরু হয়ে গেছে।

বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব যে কতটা ভয়ানক ভাবে ইউরোপের ওপর পড়ছে তা তাঁদের কাছে পরিস্কার। স্পেনে ৪০ ডিগ্রি পার করেছে পারদ। ভয়ানক গরমে পুড়ছে পর্তুগাল, ইতালি, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রিয়ার মত দেশগুলি।

এরমধ্যেই ২ হাজার ৩০০ জনের মত মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই তাপপ্রবাহ। যা একেবারেই অচেনা ইউরোপে বসবাসকারীদের কাছে। গত জুন মাসে যে গরম ইউরোপ দেখেছে তা আগে কখনও তারা দেখেনি। বিভিন্ন শহরের মানুষ গরম থেকে বাঁচতে রাস্তায় সাজানো ফোয়ারার তলাতেও দাঁড়িয়ে পড়ছেন। রাস্তায় খুব দরকার না পড়লে বার হচ্ছেন না কেউ।

যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। যেভাবে প্রতিবছর ইউরোপ জুড়ে গরম নতুন রেকর্ড গড়ছে, তাতে অবিলম্বে যদি গ্রিন হাউস গ্যাসের ওপর লাগাম দেওয়া না যায়, তাহলে বিশ্ব উষ্ণায়ন যে গতিতে প্রকট হচ্ছে তাতে আগামী দিন কল্পনার অতীত ভয়ংকর হতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *