SciTech

সমুদ্রের জলে একি কাণ্ড হচ্ছে, সামনে এল হাড় হিম করা সত্য

সমুদ্রের জল পৃথিবীর উপরিভাগের সিংহভাগ দখল করে রেখেছে। সেই জলে যা হচ্ছে তা এবার সামনে এল। যা সামনে এল তা রাতের ঘুম ওড়ানোর জন্য যথেষ্ট।

Published by
News Desk

পৃথিবীর অধিকাংশটাই জলে ভরা। সমুদ্রের নোনা জলে। সেই জল ক্রমে বদলে যাচ্ছে। ১৯৮০-র দশক থেকেই এই বদলের সূত্রপাত। প্রতি ১০ বছর হিসাবে গত ৪০ বছরে বদলের যে চিত্র সামনে এসেছে তা রাতের ঘুম উড়িয়ে দিতে পারে।

কি সেই চিত্র? বিজ্ঞানীরা একটি উদাহরণ দিয়েছেন। জানিয়েছেন, একটি বাথটবে জল ভরার সময় ঠান্ডা ও গরম জল দেওয়া হয়। সেখানে গরম জলের কলটি যদি খুব হালকা করে খোলা হয় তবে ঠান্ডা জলের সঙ্গে যে গরম জল মিশবে তা নামমাত্র।

কিন্তু গরম জলের কলটি যদি একটু বেশি খুলে দেওয়া হয়, তাহলে বাথটবের ঠান্ডা জল অনেকটা দ্রুত গরম হতে থাকবে। এক্ষেত্রে সেটাই হচ্ছে।

১৯৮০-র দশক পর্যন্ত প্রতি ১০ বছরে সমুদ্রের জলের উত্তাপ বৃদ্ধির হার ছিল ০.০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১০ বছরে উত্তাপ বৃদ্ধির অঙ্ক নামমাত্র বললেই হয়।

কিন্তু ১৯৮০-র দশকের পর থেকে প্রতি ১০ বছরে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সমুদ্রের জলের পারদ। ০.২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেটে ১৯৮০ সালের পর থেকে প্রতি ১০ বছরে বেড়েছে সমুদ্রের জলের পারদ।

ফলে সমুদ্র প্রতি ১০ বছরে অনেকটা করে গরম হয়েছে। গত ১০ বছরে আবার এই বৃদ্ধি হয়েছে ০.৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে গত ১০ বছরে সমুদ্রের জল গরম হওয়া সবচেয়ে বেশি দ্রুত হয়েছে।

বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণেই এভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সমুদ্রের জলের উত্তাপ। যা কমাতে হলে একমাত্র পথ পৃথিবীতে কার্বন নির্গমন শূন্যে নিয়ে আসা। এটাই এখন মানবসভ্যতার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk
Tags: EarthWeather