ঘূর্ণিঝড়, প্রতীকী ছবি
প্রকৃতি এখন সর্বত্রই চরমপন্থা নিচ্ছে। যেখানে বৃষ্টি হচ্ছে, সেখানে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। যেখানে গরম পড়ছে সেখানে অসহ্য গরম, যেখানে ঝড় হচ্ছে তা ধ্বংসলীলায় মেতে উঠছে, যেখানে ঠান্ডা পড়ছে তো অতি প্রবল তুষারপাত। আবার অনেক জায়গার পরিচিত আবহাওয়া যাচ্ছে বদলে।
চেনা পরিচিত আবহাওয়াটা কেমন যেন রাতারাতি অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ পরিবর্তনের এই ধাক্কা এবং তার জেরে যে ভয়ংকর সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছড়ে পড়েছে মানুষের ওপর তা সবচেয়ে বেশি সহ্য করতে হয়েছে এশিয়ার মানুষকে।
এমনই জানিয়েছে এবং সতর্ক করেছে ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন। তারা জানাচ্ছে বিশ্বের অন্য কোনও মহাদেশের মানুষকে এতটা পরিবেশ পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ্য করতে হয়নি যতটা এশিয়ার মানুষকে সহ্য করতে হয়েছে। আর তা আগামী দিনে এশিয়ার ক্ষেত্রে যে আরও বাড়বে সে বিষয়েও সতর্ক করেছে তারা।
ডব্লিউএমও জানাচ্ছে, ২০২৩ সালে এশিয়ায় যে হারে সমুদ্রের উপরিস্তর গরম হয়েছে, যে হারে হিমবাহ গলেছে, যে হারে সমুদ্রের জলস্তর ফুলে ফেঁপে উঠেছে, যেসব ভয়ংকর ঝড় হয়েছে, তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে মানুষের জীবনে, সমাজে এবং অর্থনীতিতে।
এমনকি অনেক জায়গার বাস্তুতন্ত্রেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে এই প্রবল প্রকৃতি পরিবর্তনের। বিশ্বের একটি গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি মেপে দেখা হয়। এশিয়ার ক্ষেত্রে সেই গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি বিশ্বের বাকি অংশের চেয়ে অনেক বেশি। আর তা অতি দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে।
অবশ্যই ২০২৩-এর পরিস্থিতিকে সামনে রেখে ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন-এর এই খতিয়ান এশিয়ার জন্য অশনিসংকেত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা