SciTech

তুষারপাত কম, হিমালয়ের খাঁজে খাঁজে ফুলে ফেঁপে উঠছে জীবন সংকট

এবার হিমালয়ের বিভিন্ন প্রান্তে তুষারপাত কম হয়েছে। সে জম্মু কাশ্মীর হোক বা হিমাচল প্রদেশ বা সিকিম। যা পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে জন্ম দিয়েছে মানুষের জন্য ঘোর বিপদ।

Published by
News Desk

শীতের মরসুমে ভাল তুষারপাত না হওয়ায় এবার কাশ্মীর এক শুকনো শীত কাটিয়েছে। যার সঙ্গে পরিচিত নন সেখানকার মানুষ। হিমাচলেও তুষারপাত বা বৃষ্টিপাত কম হয়েছে এবার শীতে। কাশ্মীরে আবার তুষারপাতের ওপর নির্ভর করে সেখানকার মানুষের বছরভর জল পাওয়া।

তা নিয়ে তো চিন্তা রয়েছেই। তার মধ্যে এক নতুন বিপদ ঘনিয়ে এসেছে। যা শোনার পর রাতের ঘুম উড়েছে বহু মানুষের। কারণ এক্ষেত্রে জীবনই সংকটের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।

হিমালয়ের বিভিন্ন পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে তৈরি হয় অনেক হিমবাহ হ্রদ। এইসব হিমবাহ হ্রদ তুষারপাতের হাত ধরে পরিপুষ্ট হয়। তা পুরু বরফের আকার নিয়ে পাহাড়ে খাঁজে খাঁজে বিরাজ করে।

হিন্দুকুশ কারাকোরাম হিমালয়ে যেখানে ১৯৯০ সালে ৪ হাজার ৫৪৯টি এমন হিমবাহ হ্রদ ছিল, তা ২০১৫ সালে বেড়ে হয় ৪ হাজার ৯৫০টি। এগুলিতে তুষারপাতের বরফে জমাট বেঁধে থাকে।

এবার তুষারপাত কম হয়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের হাত ধরে অনেকটাই তুলনায় গরম শীত কাটিয়েছে হিমালয়। ফলে গ্লেসিওলজিস্টরা প্রমাদ গুনছেন।

তাঁদের মতে, এরফলে যেসব হিমবাহ হ্রদ রয়েছে তার বরফ গলে যাবে। গরমে গলে সেই বরফগলা জল প্রবল গতিতে আছড়ে পড়বে নিচে। ভাসিয়ে দিতে পারে অনেক এলাকা।

সিকিমে গতবছর এমন এক হিমবাহ হ্রদ গলে প্রবল প্লাবন দেখা গিয়েছিল। এবার তা কাশ্মীর থেকে হিমাচল প্রদেশ, সিকিম থেকে অরুণাচল প্রদেশ সব জায়গায় ঘটতে পারে। এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গরম তুলনায় বেশি হওয়ায় এসব হ্রদের জমাট বরফ গলে গেলে বিপদ কোন পর্যায় ছুঁতে পারে তা ভেবেই চিন্তার ভাঁজ পুরু হয়েছে বিশেষজ্ঞদের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk
Tags: EarthWeather