কাস্পিয়ান সাগর, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
মানবসভ্যতা এবং বাস্তুতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রেখেছে জল। জল শেষ হওয়ার অর্থ জীবনের ইতি। পৃথিবীতে মানবসভ্যতাকে বাঁচিয়ে রাখার মত জল কিন্তু সর্বত্র নেই। সমুদ্রের জল তো নয়ই। এমনকি নদীর জলকেও সেই জলের ভাণ্ডার বলে মনে করেননা বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের কাছে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ২ হাজারের ওপর বিশাল সব জলাশয় হল মানবসভ্যতাকে বাঁচিয়ে রাখার মত জলের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। অর্থাৎ যে জল একটি জায়গায় বদ্ধ রয়েছে সেই জল। আর সেখানেই যত সমস্যা।
কারণ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জলের ভাণ্ডারগুলি এক এক করে শুকিয়ে যাচ্ছে। অর্ধেক বিশ্বের জলাশয়ই প্রায় শুকিয়ে যেতে বসেছে। যা কিন্তু গোটা মানবসভ্যতার জন্য অশনিসংকেত।
আর তা হচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়নের হাত ধরে। সেই সঙ্গে বিবেচনা না করেই মানুষ জল ব্যবহার করে চলেছে। যা আদপে জলের ভাণ্ডারটাই শেষ করে দিচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন আরল সাগর, কাস্পিয়ান সাগর বা স্লটন সাগরের মত অতিকায় সব জলের ভাণ্ডার শুকিয়ে যাচ্ছে। ২ হাজারের ওপর এমন নানা প্রান্তের জলাশয়ের জলস্তর হুহু করে নামছে।
ইতিমধ্যেই এক প্রবল জলাভাব তৈরি হয়েছে। বিশ্বের ৫৩ শতাংশ এমন জলাশয়ের জল উল্লেখযোগ্যভাবে শুকিয়ে গেছে। অথচ মানবসভ্যতাকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় জলই যদি না থাকে তাহলে আগামী দিনে মানবসভ্যতা বিপন্ন হতে বাধ্য।
বিশ্বের এমন সব জলাশয়গুলির জল শুকিয়ে যাওয়ার গতি মাপতে একটি নতুন মডেল তৈরি করা হয়েছে। যা এই অশনিসংকেতকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা