পাটনায় প্রবল ঠান্ডায় শরীর গরম রাখার চেষ্টা, ছবি - আইএএনএস
দেশের উত্তর ও পশ্চিমাংশ এবার প্রবল ঠান্ডার মোড়কে ঢাকা পড়েছে। দিল্লি সহ আশপাশের এলাকায় ১-এর ঘরে পারদ পৌঁছে গেছে। গোটা উত্তর ভারত কাঁপছে শৈত্যপ্রবাহে। যা আবার টানা চলছে। ঠান্ডা কমার নাম নিচ্ছে না। যা কার্যত অনেকটাই থমকে দিয়েছে জনজীবনকে।
কানপুরে ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোকে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজস্থানের অনেক জায়গায় পারদ শূন্য ছুঁয়েছে।
এমন এক পরিস্থিতির পর এখন উত্তর ও পশ্চিম ভারত মনে প্রাণে চাইছে আর নয় এবার পারদ চড়ুক। কিন্তু আবহবিদরা তাঁদের জন্য আশা তো দূর, আতঙ্কের বার্তা দিচ্ছেন।
মৌসম ভবন জানাচ্ছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি ও রাজস্থানে শৈত্যপ্রবাহের মাত্রা আরও তীব্র হবে আগামী ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস তবু একরকম। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ নভদীপ দাহিয়া জানাচ্ছেন তার চেয়েও খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে।
এমন ঠান্ডা পড়তে চলেছে যা কেউ না কখনও দেখেছেন, না অনুভব করেছেন। ঐতিহাসিক সেই ঠান্ডা পড়তে চলেছে ১৪ জানুয়ারি থেকে। আর ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তার দাপট বজায় থাকবে।
মাঝে ১৬ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি তা সবচেয়ে তীব্র আকার নেবে। যা ২০২৩ তো বটেই, এই শতাব্দীর এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা হিসাবে রেকর্ড হবে।
একেই হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় উত্তর, মধ্য ও পশ্চিম ভারত কাঁপছে। তারপর আবার এই পূর্বাভাসে এখানকার মানুষজনের আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা