গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে যাওয়া সাধুদের বাবুঘাটে ডেরা, ছবি - আইএএনএস
বড়দিনে পারদ ছিল চড়া। তারপরও পরিস্থিতি মোটেও ভাল ছিলনা। বুধ ও বৃহস্পতিবার তো আকাশ কালো করে হাল্কা বৃষ্টিও হয়। ফলে বর্ষশেষের আনন্দ মাটি বলেই ধরে নিয়েছিলেন সকলে। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই আকাশ পরিস্কার হতে শুরু করে। আর রাতের দিকে ঠান্ডাও বাড়ে।
শুক্রবার কিছুটা নেমে পারদ ১৫ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছেছে। উত্তুরে হাওয়ার দাপট বেড়েছে। ফলে পয়লা জানুয়ারি ঠান্ডা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
৩১ ডিসেম্বর রাতের পারদই আরও নামবে বলে পূর্বাভাস। আবহাওয়ার গতিবিধি দেখে তা সাধারণ মানুষও টের পাচ্ছেন। ফলে বর্ষশেষের আনন্দে ভাটা পড়ার কথা নয়। তবে এবার সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে নিয়ন্ত্রিত বর্ষশেষ পালনের অনুরোধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা থেকে সরকার।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে ডিসেম্বরের শেষেও বর্ষার আমেজ গ্রাস করল দক্ষিণবঙ্গকে। ঝিরঝির করে বৃষ্টি হল বলেই দুর্যোগ কেটে গিয়েছে। ফলে বছরের শুরু থেকে পারদ পতন অব্যাহত থাকবে।
শীতে মন খারাপ হওয়া মানুষজনের জন্য এটা অবশ্যই আনন্দের খবর। জাঁকিয়ে শীতের পূর্বাভাসই শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। এমন আবহাওয়ায় চুটিয়ে আনন্দ উপভোগে অবশ্য কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান পরিস্থিতি।
এবার বর্ষশেষ শুক্রবার, পয়লা জানুয়ারি শনিবার, পরদিন রবিবার ছুটি। সব মিলিয়ে শীতের পরশ গায়ে মেখে একটা দুর্দান্ত উইকএন্ড কাটানোর যে সুযোগ মানুষের সামনে ছিল তাতে ভাটা পড়েছে। তবে সকলে হয়তো এখনও গুরুত্ব দিতে নারাজ বিশ্ব ত্রাসকে। শুক্রবার রাস্তাঘাটে মানুষের ঢল সেকথাই বলে গেল।