কলকাতার একটি পুজোয় পুষ্পাঞ্জলি, ছবি - আইএএনএস
আন্দামান সাগরের ওপর সৃষ্টি নিম্নচাপ ক্রমশ ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলের দিকে যাওয়ার কথা। তার জেরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলিতে মহাষ্টমীর সকাল থেকেই আকাশ ঢেকে যায় মেঘে। কলকাতার আকাশও ছিল মেঘে ঢাকা। বেশকিছু জায়গায় সকালে বৃষ্টিও হয়।
মহাষ্টমীর সকালে ঝলমলে সূর্যালোক, মন্ত্রের শব্দ, শাড়ি আর পাঞ্জাবীর সাজ বাঙালির মনকে নাড়া দেয়। এই সকালটার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন বাঙালি।
সকালে পুষ্পাঞ্জলির আনন্দটা প্রতিবছর যেন নতুন করে হাজির হয়। করোনা আবহে গতবছর অনেকেই প্যান্ডেলে ঠাকুরের সামনে দাঁড়িয়ে পুষ্পাঞ্জলি দিতে পারেননি।
এবার সেই অবস্থা নয়। নিয়ন্ত্রিত হলেও করোনা বিধি মেনে সব প্যান্ডেলেই এদিন সকাল থেকে অষ্টমীর পুজো দিতে ভিড় জমে। ভিড় জমে পুষ্পাঞ্জলি দিতে।
অষ্টমীর সেই অঞ্জলি মুখর সকালের আনন্দ অনেকটাই ম্লান করল মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টি। যা কার্যত মধ্যগগনে থাকা দুর্গাপুজোর তাল কাটল।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস হুবহু মিলে গেল এদিন। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিল মহাষ্টমী থেকেই মেঘে ছাইবে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলির আকাশ। সেটাই হয়েছে। সঙ্গে হাল্কা বৃষ্টি।
এই বৃষ্টি নবমী ও বিজয়ার দিন আরও বাড়বে বলেই পূর্বাভাস। উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি বেশি হবে। অপেক্ষাকৃত কম হবে অন্যত্র।
তবে দফায় দফায় বৃষ্টির মুখে পড়তে হতে পারে কলকাতা সহ লাগোয়া জেলাগুলিকে। যা অবশ্যই পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা বঙ্গবাসীর জন্য আনন্দের নয়।