কলকাতার একটি পুজো মণ্ডপ, ছবি - আইএএনএস
মহাসপ্তমীর ভোর হতেই গঙ্গার ঘাটগুলিতে শুরু হয় কলাবউ স্নান। নবপত্রিকা স্নানের শেষে মণ্ডপে মণ্ডপে শুরু হয় মহাসপ্তমীর পুজো। মন্ত্রোচ্চারণের শব্দে মুখরিত হয় চারিদিক। দুর্গাপুজো যে পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে তা মহাসপ্তমীর সকাল বুঝিয়ে দেয়।
শারদীয়ায় নীল আকাশের বুকে সাদা পেঁজা তুলোর মত মেঘ ভেসে বেড়াবে। সোনালি রোদ মাখিয়ে রাখবে চারধার। যে আবহাওয়া মানুষের মনে উৎসবের আনন্দকে দ্বিগুণ করে দিতে পারে। কিন্তু সেখানেই তৈরি হয়েছে প্রশ্নচিহ্ন।
মহাসপ্তমীর সকাল থেকেই আকাশে আশঙ্কা মেঘের আনাগোনা। কখনও মেঘ তো কখনও রোদের খেলা চলছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে এই মেঘ আরও বাড়বে।
যদিও সপ্তমীতে বৃষ্টির আশঙ্কা তেমন নেই। তবে মহাষ্টমী থেকে বৃষ্টিও পেতে হবে কলকাতা ও তার আশপাশের জেলাগুলিকে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে উপকূলীয় জেলাগুলিতে।
আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে এগোবে। যার হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলিতে বৃষ্টি হবে মহাষ্টমী থেকে। যা আরও বাড়বে নবমী ও দশমীতে।
সেই মেঘের কিছুটা কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতেও প্রভাব ফেলবে। এছাড়া দুই ২৪ পরগনা ও ২ মেদিনীপুরে বৃষ্টি হবে। তবে টানা অঘোর বর্ষণের পূর্বাভাস নেই।
বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হলেও তা হবে দফায় দফায়। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিই হবে মূলত। তবে বৃষ্টি যে উৎসবকে মাটি করার জন্য যথেষ্ট তা বলাই বাহুল্য।