মেঘে ঢাকা কলকাতার আকাশ, ছবি - আইএএনএস
যশ-এর জেরে ক্ষয়ক্ষতি এখনও তাজা। সেই তাণ্ডবলীলার নিদর্শন এখনও ছড়িয়ে আছে রাজ্যের উপকূলীয় এলাকায়। অনেক নদীবাঁধ যশে যে ভেঙেছে এখনও তার মেরামতি সম্পূর্ণ হয়নি।
যশ একা আসেনি। সঙ্গে পেয়েছিল ভরা কোটালকে। সেই জোড়া ফলার তাণ্ডব আরও ভয়ংকর হয়েছিল। দিন পনেরোর ব্যবধানে ফের এক জোড়া ফলার আতঙ্ক তাড়া করছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ আগামী ১১ জুন তৈরি হতে চলেছে তার জেরে আগামী ৩ দিন টানা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই বৃষ্টি হবে। সেই বৃষ্টির হাত ধরেই দক্ষিণবঙ্গে ঢুকে পড়বে বর্ষা। এদিকে এই বৃষ্টিই এখন রাতের ঘুম কেড়েছে।
সুন্দরবন সহ রাজ্যের উপকূলীয় এলাকার মানুষ নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টির চিন্তায় তো রয়েছেনই, তার ওপর তাঁদের চিন্তার ভাঁজ আরও পুরু করেছে অমাবস্যার ভরা কোটাল। যা সমুদ্রে জলস্ফীতি ঘটাবে।
যশ-এর সময় ভরা কোটালের ভয়ংকর রূপ উপকূলীয় এলাকার মানুষ দেখেছেন। সমুদ্রের কাছের নদীর জলও ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছিল। বহু এলাকা ভেসে গেছে জলের তোড়ে।
সেই কোটাল ফের আসতে চলেছে, সঙ্গী হতে চলেছে নিম্নচাপের বৃষ্টি। এখনও অনেক নদীবাঁধ মেরামতি না হওয়ার ফলে গ্রামে জল ঢোকার আতঙ্কে কাঁপছেন উপকূলীয় এলাকার মানুষ।
যশ-এর ধাক্কাই সামলে উঠতে পারেননি, সবে জল নেমেছে। এই অবস্থায় ফের জল ঢুকলে পরিস্থিতি যে কতটা শোচনীয় হতে পারে তা ভেবেই রাতের ঘুম উড়েছে সকলের উপকূলবাসীর।