ফাইল : ঠান্ডার মধ্যে নিজেকে উষ্ণ রাখার চেষ্টা, ছবি - আইএএনএস
নয়াদিল্লি : ১৯৪৯ সালে শেষবার নভেম্বরে এমন ঠান্ডা দেখেছিল দিল্লি। তারপর এই ২০২০ সালে এসে অনুভব করল সেই ঠান্ডা। প্রবল ঠান্ডায় হাড় হিম তো নভেম্বরে হয়েছেই, তারসঙ্গে দিল্লিতে নভেম্বরে ৪ দিন এমন গেছে যে সেখানে শৈত্যপ্রবাহ হয়েছে।
দিল্লিতে ঠান্ডা একটু আগেই পড়ে। কিন্তু এই ঠান্ডা পড়েনা। যা এবার নভেম্বর জুড়ে দিল্লিবাসী অনুভব করলেন। সব মিলিয়ে দিল্লির নভেম্বরের গড় তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই একই গড় পারদ পতন রেকর্ড হয়েছিল শেষবারের জন্য ১৯৪৯ সালের নভেম্বর মাসে।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ৭১ বছর আগে নভেম্বরের গড় পারদ এতটা নিচে নেমেছিল দিল্লির। তার আগে ১৯৩৮ সালে তারও নিচে ছিল গড় পারদ। ১৯৩৮ সালের নভেম্বরে গড় পারদ পৌঁছেছিল ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
তার আগে ১৯৩১ সালে গড় পারদ হয়েছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ১৯৩০ সালে তা ছিল আরও কম। ১৯৩০ সালে দিল্লিতে নভেম্বরে গড় পারদ হয়েছিল ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের জন্য এ বছর গড় পারদ নভেম্বরে দিল্লিতে পৌঁছে গেল ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
সাধারণভাবে তাহলে দিল্লিতে নভেম্বরে গড় পারদ কত থাকে? আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, দিল্লিতে নভেম্বরে গড় পারদ থাকে ১২.৯ ডিগ্রির মত। এটাই স্বাভাবিক।
এবার দিল্লিতে প্রথম থেকেই পারদ পড়ছে। গত অক্টোবরে দিল্লি ৫৮ বছর পর শীতলতম অক্টোবর কাটিয়েছে। যা বুঝিয়ে দিয়েছিল এবার শীতের চেহারা কেমন হতে পারে দিল্লির।
দিল্লিতে এরমধ্যে নভেম্বরের ৩, ২০, ২৩ এবং ২৪ তারিখ শৈত্যপ্রবাহ হয়েছে। নভেম্বরেই শৈত্যপ্রবাহ বড় একটা দেখা যায়না। এদিকে কাশ্মীরের শ্রীনগর সহ অনেক জায়গাই মাইনাসে রয়েছে। চলছে তুষারপাত।
নভেম্বরেই যদি এই চেহারা হয় তাহলে ডিসেম্বর, জানুয়ারিতে কী হবে? এ প্রশ্ন অনেকেরই। এদিকে দিল্লি বলেই নয়, এবার নভেম্বরেই কনকনে হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা উত্তর ভারত।