ভ্লাদিমির পুতিন, ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – @KremlinRussia_E
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের বিরুদ্ধে সরব অনেক দেশ। ইউরোপের অনেক দেশ সহ আমেরিকা নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আরও বাড়ছে নিষেধাজ্ঞার বহর। রাষ্ট্রসংঘও নিন্দা করেছে এভাবে ইউক্রেন আক্রমণের।
ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সেখানে সাহায্য পাঠানোর ঘোষণাও করা হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য থেকে পরিস্কার শক্তিশালী রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিনা যুদ্ধে সূচ্যগ্র মেদিনীও তাঁরা গ্রাস করতে দেবেন না।
এই অবস্থায় রাশিয়া যাতটা তেড়েফুঁড়ে এগোচ্ছিল তা সামান্য হলেও বোধহয় শ্লথ করেছে। রবিবার সেভাবে কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয়নি রাশিয়ার সেনা।
তবে কি বিশ্বজুড়ে নিন্দার কারণে ধীরে চলো নীতি নিলেন পুতিন? নাকি এর পিছনে রয়েছে ঘরের মধ্যেও তৈরি হওয়া চাপ?
যখন রাশিয়ার ইউক্রেন হানা নিয়ে সরব বিশ্ব তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হয়তো ভেবেছিল তাঁর নিজের দেশের মানুষ তাঁর পাশে থাকবেন। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার এমন হানাকে অন্যায্য এবং নির্বুদ্ধিতা বলে ব্যাখ্যা করে একটি ৪ হাজার ১০০ স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি সামনে এসেছে।
যেখানে সবকটি স্বাক্ষর রাশিয়ার বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান সংক্রান্ত সাংবাদিকদের। এই চিঠি তাঁরা একটি ওয়েবসাইটে তুলে দিয়েছেন। তাঁরা রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কড়া নিন্দা করে জানিয়েছেন এতে বহু মানুষের জীবন যাবে এবং এমন কাজ আন্তর্জাতিক শান্তির পক্ষে বিপজ্জনক হবে। ইউরোপ জুড়ে যদি যুদ্ধ শুরু হয় তার জন্য তাঁদের দেশই দায়ী থাকবে বলেও লিখেছেন তাঁরা।
তবে কী এটা স্ফুলিঙ্গ? এবার কি রাশিয়া জুড়ে ক্রমশ বিভিন্ন মহল থেকে পুতিনের এই পদক্ষেপের সমালোচনা আছড়ে পড়তে চলেছে? এর উত্তর পেতে বোধহয় আরও কটাদিন অপেক্ষা করতে হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা