ফাইল : বর্ধন পুরী, ছবি - আইএএনএস
বলিউডে এক সময়ে সবচেয়ে ভয়ংকর ভিলেন যদি কেউ ছিলেন তো তিনি অমরীশ পুরী। এমন দুর্ধর্ষ, ভীষণ স্বভাব ভিলেন হিন্দি সিনেমায় খুব একটা আসেননি। বলা ভাল হিন্দি সিনেমার দুনিয়ায় অমরীশ পুরী ভিলেনের চরিত্রে একটা যুগ তৈরি করেছিলেন। যা চিরকাল অম্লান হয়েই থেকে যাবে। সেই অমরীশ পুরীর কথাই তাঁর কাছে বেদবাক্য বলে খোলাখুলি জানালেন বর্ধন পুরী।
সম্পর্কে বর্ধন পুরী অমরীশ পুরীর নাতি। মুক্তি পেতে চলা ‘ইয়ে শালি আশিকী’ সিনেমা দিয়েই তাঁর বলিউডে ডেবিউ হতে চলেছে। তাঁর প্রথম সিনেমা মুক্তি পাওয়ার আগে বর্ধন জানিয়েছেন তাঁর দাদু তাঁকে বলেছিলেন অনেক অভিনেতা যাঁরা থিয়েটার থেকে সিনেমায় আসেন তাঁরা থিয়েটারের জন্য তৈরি হওয়ার কথা ভুলে যান। তাঁদের মধ্যে তারকাসুলভ একটা ভাব তৈরি হয়। উন্নাসিক হয়ে পড়েন। হামেশা পার্টি করেন। তিনি এসব থেকে তাঁকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। দাদু তাঁকে বলেছেন এসব ততটাই করতে যতটা পেশায় টিকে থাকার জন্য দরকার। তার বেশি নয়। আর এগুলো পেশার প্রয়োজনে করতে হলেও এ সবকিছুকে নিজের জীবনের সঙ্গে মিশতে দেবেনা। আর দাদুর এসব কথা যুবা বর্ধন বাইবেল বলে মনে করেন। আর বাইবেলের মতই মেনে চলেন।
বর্ধন আরও জানিয়েছেন, তিনি কখনওই সিনেমার অভিনেতা হতে চাননি। তিনি ৫ বছর বয়স থেকে থিয়েটার করেন। এছাড়া সিনেমার সহকারী পরিচালক ও লেখক হিসাবে কাজ করেছেন। কিন্তু ক্যামেরার সামনে এই প্রথম। দাদু অমরীশ পুরীর প্রভাব তাঁর ওপর যথেষ্ট রয়েছে। তিনি যে দাদুর কথাগুলোকে এখনও বেদবাক্য বলে মনে করেন তা পরিস্কার। প্রসঙ্গত সিনেমায় আসার আগে অমরীশ পুরীও একজন প্রখ্যাত থিয়েটার ব্যক্তিত্ব ছিলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা