Health

পড়ার চশমার বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিল চোখে দেওয়া এক ফোঁটা তরল

চশমার কি তবে বিদায় ঘণ্টা বাজার দিন আগত প্রায়? অন্তত পড়ার চশমার বিকল্প হিসাবে চোখের যে ড্রপ স্বীকৃতি পেল তা কিন্তু তেমন ইঙ্গিতই বহন করছে।

Published by
News Desk

গবেষণাটা অনেকদিন ধরেই চলছিল। সাড়ে সাতশো মানুষকে ট্রায়ালে ডেকে তাঁদের ওপর পরীক্ষাও করা হয়েছিল। নজর রাখা হয়েছিল কি হয় সেদিকে।

দেখা যায় চূড়ান্ত সাফল্য পায় চোখের এই নয়া ড্রপ। যা চোখে দেওয়ার পর তার প্রভাব ৬ ঘণ্টা বজায় থাকে। আর তা সামনে দেখার সমস্যা মুছে দেয় ওই সময়ের জন্য।

৪০ বছরের পর অনেকেরই সামনে দেখার ক্ষমতা কমে যায়। অর্থাৎ পড়ার জন্য চশমা লাগে। বাইফোকাল বা প্রোগ্রেসিভ লেন্সে দূরে দেখার এবং কাছে দেখার, ২ ধরনের পাওয়ারই দেওয়া থাকে। যা অনেককেই পরতে হয়।

অনেকে আবার পড়ার জন্য আলাদা চশমা করিয়ে রাখেন। এই যে সামনে দেখার সমস্যা তা দূর করে দিচ্ছে এই ড্রপ। ফলে আর চশমা লাগছে না। তার বদলে এই ড্রপ দিলেই সামনের দৃষ্টি সঠিকভাবে ফেরত পাচ্ছেন মানুষজন।

আমেরিকার নিয়ামক সংস্থা এফডিএ এই ড্রপ ব্যবহারে সবুজ সংকেতও দিয়ে দিয়েছে। ড্রপটি চোখে দেওয়ার পর মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে কাজ শুরু করে দেয়।

এখনও এর বহুল প্রচার শুরু হয়নি। তবে একবার এই ড্রপ আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়লে পড়ার চশমার চাহিদা অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কে আর চান চোখে একটা চশমা সেঁটে থাকতে! বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ৪০ বছর বয়স্ক থেকে ৫৫ বছর বয়স্ক নারীপুরুষের ক্ষেত্রে এই ড্রপ সবচেয়ে ভাল কাজ করছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk

Recent Posts