রাশিয়ার হানায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন সীমান্ত, ছবি - আইএএনএস
রাশিয়া ইউক্রেনে হানা দেওয়ার পর ২ দিন অতিবাহিত। ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গার দখল নিচ্ছে রাশিয়ার সেনা। এরমধ্যেই ঘটে গেল এক অন্য ঘটনা।
ইউক্রেনের ওডেসা শহরের গা ঘেঁষা সমুদ্র দিয়ে ভেসে যাচ্ছিল একটি তুরস্কের জাহাজ। আচমকা সেই জাহাজে এসে আছড়ে পড়ে একটি বোমা।
রাশিয়া তা ইউক্রেনের দিকে ছুঁড়েছিল, নাকি ইউক্রেন রাশিয়াকে প্রতিহত করতে তা ছুঁড়েছিল সেটা পরিস্কার নয়। তবে যুদ্ধের মধ্যে না থাকা তুরস্কের ওপর এভাবে বোমা আছড়ে পড়াকে কোনওভাবেই তারা ভাল চোখে নিচ্ছে না।
রাশিয়ার ইউক্রেনে হানার সরাসরি বিরোধিতা করেছে ন্যাটো। সেই ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির একটি তুরস্ক। তুরস্কের জাহাজে বিনা প্ররোচনায় এভাবে বোমা আছড়ে পড়াকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করেছে তুরস্ক।
তাদের মতে, এটাই ইঙ্গিত করছে যে যুদ্ধ কেবল রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নাও থাকতে পারে। তা ছড়িয়ে পড়তে পারে ইউরোপের অন্য দেশগুলির মধ্যেও। এই যুদ্ধের হাত ধরে বাকি ইউরোপীয় দেশের সিংহভাগ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে পড়তে পারে।
এমনিতেই বিশেষজ্ঞেরা বারবার এই যুদ্ধের হাত ধরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনার কথা তুলে আনছেন। সেখানে সত্যিই যদি ইউরোপীয় দেশগুলি এই যুদ্ধের জেরে নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে নেমে পড়ে তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে সময়ের অপেক্ষা হয়ে থাকবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এদিক রাশিয়ার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা