চেরনোবিলের ৪ নম্বর পরমাণু চুল্লি, ছবি – সৌজন্যে – ফ্লিকার – @IAEA Imagebank
সময়টা ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল। গোটা দুনিয়া থরহরি কম্প হয়ে গিয়েছিল একটি ঘটনার কথা শুনে। পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিলে যে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র ছিল তার ৪ নম্বর চুল্লিতে আচমকা এক বিস্ফোরণ হয়। দ্রুত গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ।
যে বিকিরণ কেবল ভয়ংকরই নয়, যে কোনও প্রাণির শরীরে ক্যানসার উপহার দিতে পারে সেই তেজস্ক্রিয়তা। ১ হাজার বর্গ মাইল এলাকা ঘিরে ফেলা হয় প্রশাসনের তরফ থেকে। যার মধ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
মানুষ সহ অন্য প্রাণিদের বাঁচাতে এছাড়া কোনও রাস্তা খোলা ছিলনা। তারপর সময় এগিয়েছে। চেরনোবিলের ওই সংরক্ষিত এলাকায় ক্রমে আগাছা জন্মাতে থাকে। একটা একটা করে পশুর প্রবেশ ঘটতে থাকে সেখানে। যে তালিকায় নেকড়েরাও ছিল।
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ওই নেকড়েদের ওপর হালে একটি গবেষণা করেন। চেরনোবিল দুর্ঘটনার পর যে কটি নেকড়ে বেঁচে গিয়েছিল তাদের প্রজন্ম এখন ওই অঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তাদের রক্ত সংগ্রহ করেন গবেষকেরা। তারপর তা পরীক্ষা করে তাঁরা কার্যত হতবাক হয়ে গেছেন। দেখা গেছে সেই ঘটনার ৩৮ বছর পর ওই নেকড়েদের শরীরে এক নতুন শক্তির জন্ম হয়েছে।
চেরনোবিলের এই নেকড়েদের শরীরে ক্যানসার বিরোধী শক্তি জন্ম নিয়েছে। যা তাদের দেহকে ক্যানসার হওয়া থেকে রক্ষা করছে। আগামী দিনে এই নেকড়েদের ক্যানসার বিরোধী শক্তির জন্ম ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও নতুন পথ খুলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা