জলহস্তী, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
কাছেই একটি দিঘি। তারই কিছুটা দূরে জনবসতি। সেই গ্রামেরই একটি ২ বছরের শিশু খেলা করছিল মাঠে। দিঘি থেকে সেই সময় উঠে আসে একটি জলহস্তী।
জলহস্তীটি ধীর পায়ে এগিয়ে আসে শিশুটির দিকে। খাদ্যাভ্যাসে তৃণভোজী হলেও তখন জলহস্তীটি কোনওভাবে ওই ছোট্ট শিশু থেকে হয়তো বিপদ অনুভব করেছিল। ফলে আচমকা শিশুটিকে মাথার দিক থেকে গিলতে শুরু করে সে।
শিশুটির দেহ মাথার দিক থেকে অনেকটাই তখন ঢুকে গেছে তার অতিকায় হাঁ মুখের ভিতর। বাকি অংশটিও গিলে ফেলত দ্রুত। কিন্তু বিষয়টি নজরে পড়ে যায় সেখান দিয়ে যাওয়া এক স্থানীয় বাসিন্দার।
তিনি বিষয়টি দেখামাত্র নিজের বিপদের তোয়াক্কা না করে আশপাশ থেকে পাথর তুলে জলহস্তীটির দিকে ছুঁড়তে শুরু করেন। পাথরের ঘা খেয়ে জলহস্তীটি ভয় পেয়ে যায়।
অনেকটা গিলে ফেললেও ফের উগরে দেয় শিশুটিকে। তারপর তাকে মুখ থেকে বার করে দিয়ে জলহস্তীটি ফিরে যায় দিঘির দিকে। যে দিঘিতে তার বাস।
শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার পর শিশুটিকে ছেড়েও দেন। সে ভাল আছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উগান্ডার লেক এডওয়ার্ড-এ। কেন জলহস্তীটি ওই শিশুকে এভাবে গিলে ফেলার চেষ্টা করল তা পরিস্কার নয়। তবে বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন কোনওভাবে জলহস্তীটির মনে হয়ে থাকতে পারে ওই শিশুটি থেকে তার বিপদ আছে। বিশ্বের তাবড় সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটির রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর এই ঘটনা নিয়ে বিশ্বজুড়েই চর্চা শুরু হয়েছে।