World

ম্যারেজ সার্টিফিকেট, বয়স ৪ হাজার বছর

৪ হাজার বছর আগেও পুরুষ-নারীর দাম্পত্য জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে চুক্তিপত্রের প্রচলন ছিল। শুধু তাই নয়, সেই চুক্তিপত্রে সন্তানের জন্মসংক্রান্ত খুঁটিনাটিও লিপিবদ্ধ হত।

Published by
News Desk

রেজিস্ট্রি ছাড়া বিয়ের এখন আর কোনও আইনি বৈধতা নেই। আইনের বইয়ে সেই নিয়ম হালফিলের হলেও আজ থেকে ৪ হাজার বছর আগেও পুরুষ-নারীর দাম্পত্য জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে চুক্তিপত্রের প্রচলন ছিল। শুধু তাই নয়, সেই চুক্তিপত্রে সন্তানের জন্মসংক্রান্ত খুঁটিনাটিও লিপিবদ্ধ হত। রীতিমত চমকে দেওয়ার মত এমন একটি চুক্তিপত্রের সম্প্রতি সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।

চুক্তিপত্র অনুযায়ী কোনও দম্পতির বিয়ের ২ বছরের মধ্যে সন্তান না হলে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে অন্য দাসীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তৈরি করার অনুমতি দিতেন। শর্ত থাকত শুধুমাত্র সন্তান লাভের জন্য স্বামী দ্বিতীয় নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন। দ্বিতীয় নারীর গর্ভ আসলে সন্তান উৎপাদনের জন্য ভাড়া নেওয়া হত।

নিঃসন্তান দম্পতির হাতে সন্তান তুলে দেওয়ার পর গর্ভ ভাড়া করা দাসী মুক্তি পেয়ে যেতেন। তবে তাঁর তরফ থেকেও একটা শর্ত থাকত। তাঁর গর্ভজাত সন্তানকে কোনোভাবেই ওই দম্পতি কোথাও কখনো ফেলে রেখে যাবেন না, এই শর্তে রাজি হলে পরেই গর্ভ ভাড়া নেওয়া যেত। এই সমস্ত শর্তই লিখিতরূপে ফলকে খোদাই করা হত।‌

এই ধরণের প্রাচীনতম চুক্তিপত্রটির সন্ধান পাওয়া গেছে তুরস্কে। চুক্তিপত্রটির বয়স প্রায় ৪ হাজার বছর। চুক্তিপত্রে সই করা পাত্রের নাম লাকিপাম। আর পাত্রী হাতালা। বনিবনা না হলে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে রৌপ্যমুদ্রা দিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত নিতে পারতেন বলে ওই চুক্তিপত্র থেকে জানা গেছে।

তবে চুক্তিপত্রটি কাগজ-কলমে স্বাক্ষরিত হয়নি। কাদামাটির আয়তকার ফলকের উপর সুপ্রাচীন কিউনিফর্ম লিপিতে লেখা চুক্তিপত্রটি প্রত্নতাত্ত্বিকরা উদ্ধার করেছেন মধ্য তুরস্কের কায়সেরি রাজ্য থেকে। বর্তমানে ইস্তানবুলের আর্কিওলজি মিউজিয়ামে ফলকটি সংরক্ষিত আছে।

Share
Published by
News Desk
Tags: Turkey

Recent Posts