কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মিত চিত্রে সোনার কয়েন, প্রতীকী ছবি
একটি সাধারণ গৃহস্থের বাড়ি। সে বাড়ির ঘরগুলির মধ্যে একটি ঘর এখন সারা দেশের আলোচ্য হয়ে উঠেছে। কারণ সেই ঘরের মেঝে খুঁড়ে যা পাওয়া গেছে তাতে সকলেরই চক্ষু ছানাবড়া। মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেছে একটি বিশাল ঘড়া। সেই পাত্রের মধ্যে রয়েছে প্রচুর সোনার মুদ্রা।
যে মুদ্রার গায়ে খোদাই করা রয়েছে এক ধনুর্ধারী। হিসাব করে দেখা গেছে এ কয়েনের বয়স আড়াই হাজার বছর। যিশুখ্রিস্টের জন্মেরও ৫০০ বছর আগে এই কয়েনের ব্যবহার ছিল পারস্যে।
তুরস্কের একটি শহর নোটিয়াম ছিল আদপে একটি প্রাচীন গ্রিক শহর। সেখানেই একটি বাড়ির ঘরের মেঝে খুঁড়ে এই ঘড়া উদ্ধার হয়েছে।
একটা ঘড়া ভর্তি সোনার মুদ্রা। এমনটা সহজে পাওয়া যায়না বলেই জানাচ্ছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। সেদিক থেকে এই খোঁজ অবশ্যই আলাদা। সে সময় একজন সৈনিকের যা মাইনে ছিল তার জন্য একটা কয়েনই যথেষ্ট। তেমন প্রচুর কয়েন ছিল ওই ঘড়ায়।
কে বা কারা এই ঘড়া এভাবে পুঁতেছিল, কেনই বা পুঁতেছিল তা পরিস্কার নয়। কারণ বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন যদি কেউ পুঁতে রেখে থাকেন, তবে তা তিনি পরবর্তীকালে তুলেও নেবেন।
এভাবে পুঁতে রাখার অন্য কোনও কারণ ছিল। তবে শুধু কয়েনের ঘড়াই নয়, ওই জায়গা থেকে প্রত্ন নিদর্শন হিসাবে অনেক মাটির পাত্রও উদ্ধার হয়েছে।
সব মিলিয়ে একটা ঘর এখন গোটা দেশের অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। খবরটি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্ব জুড়েই এ নিয়ে চর্চা শুরু হয়।