World

ডুবোজাহাজ টাইটান ১ জন মানুষের পিঠে আইফেল টাওয়ার চাপানোর চাপের মুখে পড়েছিল

১ জন মানুষের পিঠে যদি আইফেল টাওয়ারটা খুলে চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ওই ব্যক্তির ওপর যে চাপ পড়ে ঠিক সেই চাপ সহ্য করতে হয়েছিল টাইটানকে।

Published by
News Desk

ডুবে যাওয়া টাইটানিক আটলান্টিকের যেখানে শুয়ে আছে সেই ধ্বংসাবশেষ দেখাতে ৫ ধনকুবেরকে নিয়ে জলের তলায় নেমেছিল ডুবোজাহাজ টাইটান। কিন্তু মাত্র ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মধ্যেই তার সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ হয় টাইটানের মাদার জাহাজ এমভি পোলার প্রিন্স-এর। এরপর আর কোনও খোঁজ ছিলনা ডুবোজাহাজটির।

এদিকে মার্কিন নৌসেনার তরফে জানানো হয়, ঠিক যে সময় টাইটানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়, তার কিছুক্ষণ পরই তারা জলের তলায় একটি বিস্ফোরণ জাতীয় শব্দ পায়। যদিও তখন তা কিসের শব্দ পরিস্কার ছিলনা। তবে বিষয়টি মার্কিন নৌসেনা পরবর্তীকালে টাইটানের তল্লাশিতে থাকা আধিকারিকদের জানিয়ে দেয়।

টাইটান ঠিক কীভাবে ওভাবে ৫ টুকরো হল তা পরিস্কার নয়। তবে তা কোথায় নেমেছিল সেটা একবার বুঝে নেওয়া যাক। টাইটানিক পড়ে আছে জলের ১২ হাজার ফুট নিচে। মহাসমুদ্রের উপরিস্তরে যে জলের চাপ থাকে তা প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে সাড়ে ৬ কেজির সমান।

আর টাইটান নেমেছিল যেখানে সেখানে জলের চাপ ছিল এই জলের উপরিস্তরের চাপের ৩০০ গুন। যাকে সহজ করে বোঝা যায় একটি উদাহরণে। উদাহরণটি হল এক ব্যক্তির পিঠে যদি আস্ত আইফেল টাওয়ারটা খুলে চাপিয়ে দেওয়া হয় তাহলে যে চাপ তাঁকে সহ্য করতে হবে, এখানে জলের চাপ ঠিক সেইরকম।

তাহলেই অনুমেয় যে কি পর্যায়ে জলের চাপ টাইটানকে সহ্য করতে হচ্ছিল। এই চাপ সহ্য করতে না পেরেই টাইটান প্রথমে দুমড়ে গিয়ে ফেটে থাকতে পারে বলে মনে করছেন একদল বিশেষজ্ঞ।

সেই সঙ্গে যেখানে টাইটানিক পড়ে আছে সেখানে তাপমাত্রা থাকে ৪ ডিগ্রি। অর্থাৎ প্রবল ঠান্ডা। সেই সঙ্গে মিশকালো অন্ধকারে ডুবে থাকে চারধার। এমন অন্ধকার যাতে একদম সামনেও কিছু দেখার উপায় নেই।

অসহ্য জলের চাপ, ঘুটঘুটে অন্ধকার, সামুদ্রিক প্রাণি পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়না এবং কনকনে ঠান্ডা। এখানে পৌঁছে ফেটে গিয়েছে টাইটান। কিন্তু কীভাবে? এখনও যা উত্তর সামনে আসছে তা অনুমান। নিশ্চিত কারণ এখনও জানানো হয়নি।

Share
Published by
News Desk