World

বিয়ের দিনের গান, গল্প, হুল্লোড়ের শব্দ ফিরল ৫৯ তম বিবাহবার্ষিকীর আগে, আপ্লুত দম্পতি

সামনের বছর তাঁদের ৫৯ তম বিবাহবার্ষিকী। তাঁদের বিয়ের দিনের গান, গল্পগুজব, হৈহুল্লোড়ের শব্দ ফিরে পেলেন দম্পতি। হারানো রত্ন পাওয়ার মতই খুশি তাঁরা।

Published by
News Desk

এ এক আজব কাহিনি। কত কিছুই যে হঠাৎ করে জীবনকে খুশিতে ভরিয়ে দিতে পারে তার একটা উদাহরণও বটে। সে অনেকদিন আগের কথা। ১৯৬৬ সালে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। সে সময় তো আর বিয়ের ভিডিও করার রেওয়াজ ছিলনা। তবে সে সময় বড় বড় রেকর্ড হত।

সেই রেকর্ডে অনেক গান, শব্দ রেকর্ড করা যেত। তাঁদের বিয়ের দিন যে প্রার্থনা হয়েছিল, যে গল্পগুজব হয়েছিল, যে হৈহুল্লোড় হয়েছিল সে সবই তাঁরা স্মৃতি হিসাবে রেকর্ড করে রেখেছিলেন।

সেই ফোনোগ্রাফ রেকর্ড বা ভিনাইল রেকর্ডটি তাঁদের বিয়ের স্মৃতি হয়ে থেকে গিয়েছিল তাঁদের সঙ্গে। যেমন এখন মানুষ ভিডিও রেখে দেন, সেই সময় ফিল এবং ডোনা তাঁদের বিয়ের দিনের নানা শব্দ রেকর্ড করে রেখে দিয়েছিলেন।

তাঁদের ছিল গান শোনার শখ। তাই সেই সময় তাঁদের বাড়িতে এমন বড় বড় রেকর্ড ছিল অনেক। ছিল রেকর্ড প্লেয়ারও। কোনও সময় তাঁদের ফিলস অ্যান্ড ডোনাস ওয়েডিং লেখা সেই রেকর্ডটি ভুল করে ঢুকে গিয়েছিল জ্যাজ মিউজিকের একটি রেকর্ডের খাপে।

এরপর তাঁরা শহর বদলেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার লস অলটোস হিলস ছেড়ে উঠে আসেন অস্টিন শহরে। তাঁরা তাঁদের একটি পুরনো সম্পত্তি বিক্রিও করে দেন। নতুন যে জায়গায় তাঁরা এসেছিলেন সেখানে পুরনো বাড়ি থেকে আনা অনেক জিনিসই ছিল বেমানান।

তাই কিছু ফেলে আসা হয়। সেই তালিকায় ছিল সেই জ্যাজ মিউজিকের কভারটাও। যার মধ্যে আসলে রাখা ছিল তাঁদের বিয়ের দিনের নানা শব্দ।

এদিকে ফেলে দেওয়া জিনিসের মতই সেই জ্যাজ মিউজিকের খাপটি পৌঁছয় একটি চোরবাজারে। সেখান থেকে একজন তা কেনেনও। কিন্তু সেটি চালাতে গিয়ে দেখেন খাপের মধ্যে কোনও জ্যাজ মিউজিক নেই, আছে একটি বিয়ের দিনের শব্দ।

তখনই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় মারফত জানার চেষ্টা করেন ওটি কার। জানতেও পারেন। সেই ফিল ও ডোনার নাতনি সেটির হদিশ পেয়ে যান।

তাঁদের বিবাহিত জীবনের ৫৯ তম বর্ষ তাঁরা আগামী বছর পালন করতে চলেছেন। তার আগে সেই বিয়ের দিনের শব্দগুলো ফের শুনতে পাওয়া, স্মৃতিতে ডুব দেওয়ার সুযোগ যে তাঁরা কখনও এভাবে পাবেন তা কল্পনাও করতে পারেননি বৃদ্ধ দম্পতি।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts