National

এখনই ফ্লোর টেস্টের অগ্নিপরীক্ষা নয়, সোমবারই ২টি চিঠি জমার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

Published by
News Desk

মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল যেভাবে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে ডেকে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে বলেছেন। যেভাবে রাতারাতি তাঁকে শপথগ্রহণ করানো হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস। আবেদনের গুরুত্ব বিবেচনা করে সুপ্রিম কোর্টে রবিবারও শুনানি হয়। ৩ বিচারপতির বেঞ্চ এদিন আবেদনের শুনানি করে। সুপ্রিম কোর্ট এদিন ২টি বিষয় জানিয়েছে। এক, এখনই মহারাষ্ট্রে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে ফ্লোর টেস্টে নামতে হচ্ছেনা। এই অগ্নিপরীক্ষার আগে অবশ্যই স্বস্তির কারণ হল এটি। কারণ আস্থা ভোট হলে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস যে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে পারত না, এমনটা জোর দিয়ে বলা মুশকিল। সেক্ষেত্রে এত কাণ্ড করে শপথগ্রহণ করেও তা মাঠে মারা যেত।

সুপ্রিম কোর্ট এদিন দ্বিতীয় যে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে তা হল দেবেন্দ্র ফড়নবিশ নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি জানিয়ে রাজ্যপালকে যে চিঠি দেন এবং তার প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল যে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে সরকার গড়তে চিঠি দিয়েছেন সেই চিঠি সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে পেশ করতে হবে। এই ২টি চিঠি পেশ করার জন্য কেন্দ্র কিছুটা সময় প্রার্থনা করেছিল। কিন্তু সেকথা অগ্রাহ্য করে শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে ওই ২টি চিঠি তাদের সোমবারই চাই।

গত শুক্রবার শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট সরকার গঠন প্রায় নিশ্চিত করে। এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার জানিয়ে দেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেই হবেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। রাতে এই ঘোষণার পর আচমকাই শনিবার সকালে অনেকে ঘুম ভেঙে জানতে পারেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করে ফেলেছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন এনসিপি-র অজিত পাওয়ার। যিনি শরদ পাওয়ারের ভাইপো। কিন্তু মহারাষ্ট্রে তো রাষ্ট্রপতি শাসন ছিল। প্রশ্ন ওঠে। তখনই সকলে জানতে পারেন ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ রাষ্ট্রপতি মহারাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নিয়েছেন। আর সকাল ৮টাতেই মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ সম্পূর্ণ হয়েছে। এরপরই মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক ডামাডোল শুরু হয়ে যায়। শিবসেনা এটাকে মহারাষ্ট্রে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বলে দাবি করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk