National

কাশ্মীরে যাওয়ার অনুমতি পেলেন ইয়েচুরি, সন্তান পেল বাবা-মাকে দেখার অনুমতি

Published by
News Desk

স্বাধীন দেশের একজন নাগরিক চাইলে দেশের যে কোনও প্রান্তে যেতে পারেন। তাই সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জম্মু কাশ্মীরে তাঁর দলের বিধায়ক মহম্মদ ইউসুফ তারিগামির সঙ্গে দেখা করতে যেতেই পারেন। তবে তিনি শুধু তারিগামির সঙ্গে দেখাই করতে পারবেন। এর বাইরে তিনি যদি অন্য কিছু করেন বা আদালতের নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে তাঁকে আটক করে কাশ্মীর থেকে ফেরত পাঠানোর অধিকার সরকারের আছে। এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর বেঞ্চ।

তারিগামির শরীর খুব একটা ভাল নেই। তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি হেবিয়াস কর্পাস-এ আবেদন করেন সীতারাম ইয়েচুরি। সেই আবেদনের শুনানিতে এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানান সীতারাম সেখানে ঢুকলে সেই সুযোগকে তিনি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন। অন্যদিকে সীতারামের আইনজীবী রাজু রামচন্দ্রন জানান তাঁর মক্কেল লিখিত দিতে রাজি আছেন যে তিনি তারিগামির সঙ্গেই দেখা করতে চান। ২ পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত উপরোক্ত বিষয়গুলি জানায়। প্রসঙ্গত এর আগে গত ৯ অগাস্ট সিপিআই নেতা ডি রাজাকে সঙ্গে করে কাশ্মীরে ঢোকার চেষ্টা করেন সীতারাম ইয়েচুরি। তারপর ২৪ অগাস্ট ফের রাহুল গান্ধী সহ অন্য দলের নেতাদের সঙ্গে একযোগে কাশ্মীরে ঢোকার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু ২ ক্ষেত্রেই তাঁকে শ্রীনগর বিমানবন্দরের বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি।

একইসঙ্গে আরও একটি নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আইনের স্নাতক মহম্মদ আলিম সঈদ শীর্ষ আদালতে হেভিয়াস কর্পাসে আবেদন জানিয়ে বলেন তাঁর বাবা-মা কাশ্মীরের অনন্তনাগে রয়েছেন। কিন্তু তিনি তাঁদের কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না। ফোন যোগাযোগ বন্ধ। সেখানে যেতেও দেওয়া হচ্ছেনা। তিনি বাবা-মায়ের খোঁজ নিতে চান। দেখা করতে চান। আদালত এই আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে সঈদকে যেন পুরো সুরক্ষা দিয়ে অনন্তনাগে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়। আর সঈদকে আদালত জানিয়েছে, তিনি ঠিকঠাক দেখা করতে পারলেন কিনা তা ফিরে এসে আদালতকে যেন রিপোর্ট করেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk