ফাইল : সুপ্রিম কোর্ট, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি ফৌজদারি মামলা থাকে বা তিনি কোনও অপরাধমূলক কাজে অভিযুক্ত হন, তারপরও কী তাঁর ভোটে লড়ার বা প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার অধিকার থাকে? এই প্রশ্ন তুলে একটি আবেদনে এদিন সরাসরি রায় না দিয়ে এ বিষয়ে সংসদে আইন পাস করার পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এখন অনেক দলেই এমন অনেকে রয়েছেন যাঁদের অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার পূর্ব ইতিহাস রয়েছে বা অনেকে ভোটে লড়েন যাঁরা কোনও অপরাধমূলক কাজে অভিযুক্ত বা জেলবন্দি। এদিন সেকথা মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্ব ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ আইন করে এসব বন্ধের পরামর্শ দিয়েছে। যে আইন পাস করতে হবে সংসদকেই।
রাজনীতি বা জন প্রতিনিধিত্বকে অপরাধমুক্ত করা জরুরি বলেও মত প্রকাশ করেছেন বিচারপতিরা। পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, যদি কেউ অপরাধমূলক কার্যকলাপে যুক্ত থাকার ইতিহাস নিয়েও ভোটে লড়েন তবে সে সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সকলের সামনে আনা উচিত। তাতে ভোটাররা পরিস্কার হবেন ওই প্রার্থী সম্বন্ধে। তারপর তাঁরা স্থির করবেন কাকে ভোট দেবেন। সেসব প্রার্থীর উচিত, নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে বড়বড় হরফে চিঠি লিখে নিজেদের যাবতীয় মামলা সম্বন্ধে অবহিত করা। তাছাড়া সব প্রার্থীকে তাঁর দলকেও বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। সেসব তথ্য ওয়েবসাইটে তুলেও দিতে হবে। যাতে তা সকলের কাছে পৌঁছয়।