SciTech

চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে…!

Published by
News Desk

বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘সুপারমুন’। কাঁচা বাংলায় যার অর্থ অনেক বড়, অনেক বেশি ঝলমলে চাঁদ। সোমবার সন্ধে নামতেই সেই বিরল চাঁদের দর্শন করল কলকাতা।

১৪ শতাংশ বড় আর ৩০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল চাঁদ চর্মচক্ষে দেখার লাইফটাইম সুযোগটা হাতছাড়া করেননি তিলোত্তমার বাসিন্দা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। আর সন্ধে নামতেই ম্যাজিক শুরু।

যত রাত বেড়েছে ততই যেন উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে জ্যোৎস্না। আলো আলোয় ভরে গিয়েছে চারদিক। সে বাড়ির ছাদ হোক বা বারান্দা, তাল গাছের মাথা হোক বা ধান খেত, দিগন্ত বিস্তৃত প্রান্তর হোক বা জোয়ারে ফেঁপে ওঠা সমুদ্র।

৬৮ বছর আগে ১৯৪৮ সালে শেষবার পৃথিবীর এত কাছে এসেছিল চাঁদ। তারপর ফের এদিন পৃথিবী আর চাঁদের দেখা হল কাছাকাছি। অধিকাংশ জীবিত ব্যক্তি এই প্রথম সেই বিরল চাঁদকে মুগ্ধ হয়ে দেখার অভিজ্ঞতা মনের কোণায় লুকিয়ে রাখলেন। যা দেখলেন তা সত্যিই অপরূপ।

চাঁদকে এদিন সত্যিই সাদা চোখে বড় লেগেছে। চাঁদের আলো যেন ঠিকরে মাখিয়ে দিয়েছে দেহমন। কিন্তু কীভাবে এল চাঁদ এত কাছে?

চাঁদ পৃথিবীকে ডিম্বাকারভাবে প্রদক্ষিণ করে। এই প্রদক্ষিণ করতে করতে একটা সময়ে পৃথিবীর খুব কাছে পৌঁছে যায় চাঁদ। এর গাণিতিক নিয়ম আছে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সে হিসাব করেই জানিয়েছেন আবার এই সুযোগ মিলবে ১৮ বছর পর ২০৩৪ সালের ২৫ নভেম্বর। তবে তার আগে সোমবার সন্ধে থেকে রাত প্রাণভরে মহাজাগতিক বিস্ময়ের সাক্ষী রইলেন সকলে। নিউজিল্যান্ড থেকে সবচেয়ে উজ্জ্বল দেখাবে চাঁদকে। তবে এশিয়া থেকেও উজ্জ্বলতা কোনও অংশে কম হল না। চাঁদের হাসি এদিন সত্যিই বাঁধ ভাঙল।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts