SciTech

একরাশ জ্যোৎস্নায় রাতের আকাশে অনেকটা উজ্জ্বল ‘সুপার ব্লু মুন’

Published by
News Desk

কে বলবে যে সন্ধে নামার পর থেকে এই চাঁদটাই নাকি ঢাকা ছিল পৃথিবীর ছায়ায়। লালচে আভায় দেখা যাচ্ছিল গোল চাকতিটাকে। বোঝা যাচ্ছিল গোল কিছু রয়েছে। তবে ছায়াচ্ছন্ন, লালচে। ব্লাডমুন। সেই গ্রহণ কাটার অপেক্ষা। সন্ধে ৭টা ৩৭-এর পর থেকে একটু একটু করে উঁকি দিতে শুরু করে আসল চেহারার চাঁদ। যা ক্রমশ চোখ জুড়িয়ে দিতে থাকে সকলের। প্রথমে একটা কোণা ধরে একটু উঁকি। একদম ‘ডায়মন্ড রিং’! যার দিকে একবার চাইলে আকাশ থেকে চোখ সরানো মুশকিল। সেই চাঁদ ক্রমশ এক ধার ধরে উজ্জ্বল হতে শুরু করে। ছায়া সরতে থাকে। সময় এগোতে থাকে। আর ধীরে ধীরে পূর্ণিমার চাঁদ তার স্বমূর্তিতে ধরা দিতে থাকে বিশ্ববাসীর চোখে।

একই মাসে এটা দ্বিতীয় পূর্ণিমা। যা কার্যত বিরল। তবে যে মাসে এমনটা হয় সেই মাসে দ্বিতীয়বার যে পূর্ণিমার চাঁদ ধরা দেয় তাকে বলে ব্লু মুন বা নীল চাঁদ। না বর্ণে নীল নয়। তবে তাকে বলা হয় ব্লু মুন। এদিন ছিল সেই ব্লু মুন। কারণ জানুয়ারিতে এদিন ছিল দ্বিতীয় পূর্ণিমার রাত। সেইসঙ্গে এদিন আবার সুপারমুনও। কী সেই সুপারমুন? সুপারমুন হল পৃথিবীর কাছে এসে পড়া চাঁদ। কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর কাছে এসে পড়া চাঁদ এদিন পৃথিবীর কাছে এসেছে ৩৫৯ হাজার কিলোমিটার। অনেকটাই কাছে। হিসাব বলছে চাঁদ এখন পৃথিবীর ১৪ শতাংশ কাছে। যার ফলে ৩০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল লাগছে চাঁদকে। যা সাদা চোখেই ধরা পড়ছে। এদিন গ্রহণ কাটতেই সেই সুপার ব্লু মুন চোখ ধাঁধিয়ে দিল সকলের। ঝলমল করছে চাঁদ। কেমন যেন বড়ও মনে হচ্ছে। এও এক মহাজাগতিক বিস্ময়। যা কালেভদ্রেই ধরা দেয় মানুষের চোখে।

Share
Published by
News Desk
Tags: Supermoon

Recent Posts