রাস পূর্ণিমায় সন্ধের আকাশে দেখা যাবে মহাজাগতিক বিস্ময়, এ সুযোগ ছাড়বার নয়
এবার রাস পূর্ণিমা ৫ নভেম্বর। ওইদিন সন্ধে নামলে আকাশের দিকে চাইলে দেখা মিলবে এক মহাজাগতিক বিস্ময়ের। এমন সুযোগ ছাড়া উচিত নয়।
বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৮ কার্তিক। ইংরাজি ক্যালেন্ডারে ৫ নভেম্বর রাস পূর্ণিমা। যা দেশজুড়ে গুরু নানকের জন্ম দিবস হিসাবেও পালিত হয়। ওইদিন সন্ধে নামলে অন্ধকার আকাশের দিকে নজর না দেওয়া মানে এক মহাজাগতিক বিস্ময়ের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করা।
কারণ ওইদিন এক অন্য চাঁদ নজর কাড়বে সকলের। যাকে ইংরাজিতে বলা হচ্ছে সুপারমুন। চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে যে কক্ষপথে তা গোলাকার নয়। বরং ডিম্বাকৃতির। ফলে চাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্ব সর্বদা এক থাকেনা। কমবেশি হয়।
যখন চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এসে পড়ে তখন সেই চাঁদকে বলা হয় সুপারমুন। চাঁদ পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে যেদিন অবস্থান করে সেই চাঁদের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি বড় এবং ৩০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল দেখায় এই চাঁদকে। ফলে অনুমেয় যে চাঁদকে কতটা উজ্জ্বল দেখাবে সেদিন।
পূর্ণিমা হওয়ায় ওইদিন চাঁদ উজ্জ্বলই হয়। তার ওপর সুপারমুন হওয়ায় ৫ নভেম্বর রাতের চাঁদের উজ্জ্বলতা যেমন চোখ ঝলসানো হবে, তেমনই তাকে অনেকটা বড় লাগবে। সবটাই খালি চোখে দেখা যাবে। এজন্য বিশেষ কোনও কিছু চোখে পরার দরকার নেই।
শর্ত একটাই। ওইদিন আকাশে মেঘ থাকলে চলবে না। পরিস্কার আকাশে চারধার যত কৃত্রিম আলোবিহীন হবে, ততই চাঁদ আরও বেশি করে মোহময় হয়ে ধরা দেবে। পাশ্চাত্যে এই সুপারমুনকে বিভার মুনও বলা হয়।













