সুপার টাইফুন ট্রামি, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
এত বড় ঘূর্ণিঝড় ২০২২ সালে অন্তত দেখা যায়নি। যা এখন সমুদ্রের ওপর ফুঁসছে। অতিশক্তিশালী সুপার টাইফুন স্থলভাগের দিকে ২৫৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে ছুটে আসছে। শক্তি কমার নাম তো নেইই, বরং তা অতিশক্তিশালী চেহারায় প্রায় ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতির ঝড় নিয়ে আছড়ে পড়বে স্থলভাগে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
হিন্নামোর নামের এই ঘূর্ণিঝড়টির দিকে কড়া নজর রেখেছেন বিশেষজ্ঞেরা। যার হাত ধরে সমুদ্রে ঢেউ ৫০ ফুট পর্যন্ত উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে সমুদ্রের ধার থেকে মানুষজনকে সরানো শুরু হয়ে গেছে। যাবতীয় ব্যবস্থা তৈরি রাখা হচ্ছে।
দক্ষিণ চিন সাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ জাপানের দক্ষিণ দিকের দ্বীপগুলির দিকে এগিয়ে আসছে। সেইসঙ্গে সুপার টাইফুন হিন্নামোর ঝাপটা দেবে চিনের পূর্ব দিকের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। হিন্নামোর যে শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসছে তেমন ঝড় ২০২২ সালে বিশ্বের কোনও প্রান্তে দেখা যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন তা এখন ঘূর্ণিঝড়টি যে অবস্থায় রয়েছে তার প্রেক্ষিতে। এখন তাঁরা নজর রাখছেন সমুদ্রের ওপরেই এই ঘূর্ণিঝড় কিছুটা হলেও তার ক্ষমতা হারায় কিনা সেদিকে।
যত ক্ষমতা নষ্ট হবে ততই স্থলভাগের জন্য মঙ্গল। তাতে ক্ষয়ক্ষতি কম হবে। মানুষ থেকে পশুপাখির প্রাণ রক্ষা পাবে। এখন যা পরিস্থিতি তাতে অবশ্য যথেষ্ট শক্তি নিয়েই ধাবমান হিন্নামোর। যা স্থলভাগ পর্যন্ত পৌঁছতে সপ্তাহের শেষের দিক হয়ে যাবে।