Kolkata

বিপুল মানুষের শ্রদ্ধায় ভেসে গান স্যালুটে পঞ্চভূতে বিলীন সুব্রত মুখোপাধ্যায়

কালীপুজোর রাতেই শেষ হয়েছিল ইহলোকের সফর। শুক্রবার সকাল থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে, শেষ দেখা দেখতে হাজির হলেন নানা জগতের ব্যক্তিত্ব থেকে সাধারণ মানুষ।

Published by
News Desk

কালীপুজোর রাতে তাঁর মৃত্যু গোটা রাজ্য রাজনীতিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। তিনি যে কত বড় মাপের নেতা ছিলেন তা বোঝা গেল শুক্রবার সকালেই। শুধুই রাজনৈতিক জগত বলে নয়, অন্য জগতের মানুষজনও শোকসন্তপ্ত মনে হাজির হলেন তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে।

শুক্রবার সকালেই তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয় রবীন্দ্র সদনে। সেখানে তাঁকে শায়িত রাখা হয় মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। সেখানে সারাক্ষণই যেমন ছিল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আনাগোনা তেমনই এসে হাজির হন অন্য জগতের মানুষও।

আসেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। আসেন সুব্রতবাবুর পুরনো দল কংগ্রেসের নেতারাও। সকলের মুখেই ছিল স্মৃতিচারণা। এক সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সব দলের নেতাদের সঙ্গেই সুব্রতবাবু ছিলেন ব্যক্তিগত পর্যায়ে সাবলীল।

সকাল ১০টা থেকে ২টো পর্যন্ত রবীন্দ্র সদনে শায়িত রাখার পর সেখান থেকে বিধানসভায় আনা হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দেহ। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, শুভেন্দু অধিকারী।

বিধানসভা থেকে আড়াইটে নাগাদ সুব্রতবাবুর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বাড়িতে। বাড়িতে কিছুটা সময় রাখার পর সেখান থেকে একডালিয়া এভারগ্রীণ ক্লাবে আসে তাঁর দেহ। তারপর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এই শেষযাত্রায় যেমন পা মেলান নেতা মন্ত্রীরা, তেমনই ছিলেন হাজারে হাজারে সাধারণ মানুষ।

কেওড়াতলা মহাশ্মশানে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গান স্যালুটে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তারপর যাবতীয় রীতি মেনে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায় এক দীর্ঘ রাজনৈতিক অধ্যায়।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts