ফাইল : মুম্বই শেয়ার বাজার, ছবি - আইএএনএস
যেভাবে এতদিন ভারতীয় শেয়ার বাজার ঝিমোচ্ছিল। যেভাবে তা মাঝেমধ্যে বড় ধরনের পতনের মুখে পড়ছিল তাতে দালাল স্ট্রিটের মনমেজাজ একেবারেই ভাল ছিলনা। কিন্তু সপ্তাহের শেষ কেনাবেচায় শেয়ার বাজার শুক্রবার যে উত্থান দেখল তা হয়তো তাদের স্বপ্নের অতীত। একদিনে এতটা উত্থান শেয়ার বাজার শেষ কবে দেখেছিল তা কেউ মনে করতে পারছেন না। আদৌ কী দেখেছিল? সে প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। সৌজন্যে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সকালের ঘোষণা। যেখানে দেশে আর্থিক মন্দা কাটাতে কর্পোরেট করের হারে ছাড়ের ঘোষণা করেন তিনি। ফরেন পোর্টফোলিও ইনভেস্টারদের ক্ষেত্রে সারচার্জের বোঝা কমান তিনি।
নির্মলা সীতারমন এই ঘোষণা করার পরই হুড়মুড় করে বাড়তে শুরু করে বাজার। মাঝে ২ হাজার ২৮৪ পয়েন্ট বেড়ে যায় মুম্বই শেয়ার বাজারের সূচক। দিনের শেষে যা স্থির হয় ১ হাজার ৯২১ পয়েন্ট বেড়ে। প্রায় ২ হাজারই বলা চলে। সেনসেক্স এদিন বন্ধ হয় ৩৮ হাজার ১৪ পয়েন্টে। ফের এদিন ৩৮ হাজার পার করে গেল সূচক। একইভাবে নিফটি বেড়েছে ৫৬৯ পয়েন্ট। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফটি এদিন বন্ধ হয় ১১ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে। যে নিফটি ১১ হাজারের নিচে নেমে গিয়েছিল, তা ফের ১১ হাজারের ওপরে ফিরে এল।
এসবিআই, ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, ভারত পেট্রোলিয়াম, মারুতি সুজুকি এদিন সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে। এছাড়া ব্যাঙ্কিং সেক্টর এদিন উত্থানে বড় ভূমিকা পালন করেছে। এইচডিএফসি, আইসিআইসিআই, কোটাক ব্যাঙ্ক বড় অবদান রেখেছে। এছাড়া রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার বিক্রি হয়েছে চোখে পড়ার মতন। নির্মলা সীতারমন এদিন জানিয়েছেন কর্পোরেট ট্যাক্সের হার হ্রাসের ফলে রাজকরের ক্ষতি হবে বছরে ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রীর দাবি এই পদক্ষেপের ফলে বাজারে টাকার চলন বাড়বে। মন্দা কাটাতে অর্থমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে ঐতিহাসিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।