Let’s Go

৫ হাজার বছর পুরনো মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণ ও পাণ্ডবরা আরাধনা করেছিলেন

মন্দিরটি বিশাল। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের আগে পঞ্চপাণ্ডবদের সঙ্গে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ এসেছিলেন এই তীর্থে। আশির্বাদ লাভ করেন কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ বিজয়ের।

Published by
Sibsankar Bharati

সেই আঠেরো থেকেই আমার ভ্রমণ ও সাধুসঙ্গের জীবন শুরু। আজও তা জারি আছে। তপোবন ভারতের প্রায় সব তীর্থেই গিয়েছি। আর্থিক দৈন্যের দিনেও ভ্রমণ চলেছে অপ্রতিহত গতিতে। একই তীর্থে একবার নয়, একাধিকবার-বারবার।

একবারও হরিদ্বারে যাওয়ার কথা তখন ভাবতে পারতাম না, এখন রসিকতা করে বলতে হয় হরিদ্বারে আমার থেকে বেশি গিয়েছেন একমাত্র ট্রেনের ড্রাইভার।

সারাজীবনে পাঁচ হাজার পথচলতি রমতা সাধুর সঙ্গ করেছি। তাদের অনেকের মুখে শুনেছি নানা তীর্থের বিবরণ, মাহাত্ম্যের কথা, পুরাণের কথা। শুনে অভিভূত হয়েছি। সাধু সন্ন্যাসীদের বলা সেসব তীর্থে অনেকেই যায় না। অনেকে জানেই না।

যারা জানে তাদেরও অনেকের যাওয়ায় অরুচি। এখানে তেমনই এক তীর্থের কথা বলা হল, যাতে তীর্থস্থানটির প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়ে, রুচি আসে।

অটো এসে থামল স্থানেশ্বর মহাদেবের মন্দিরের সামনে। কুরুক্ষেত্র স্টেশন থেকে সোজা এখানে এলে ২ কিমি। একটু এগোতেই প্রথম বাঁয়ে পড়ল একটি ছোট্ট মন্দির। ভিতরে শিবলিঙ্গ। এর পরের মন্দিরটি বিশাল। এর মধ্যে স্থাপিত দেবী অম্বিকা সিংহবাহিনী। মাঝারি উচ্চতা। মূর্তিটি নয়নভরে দেখার।

মূল মন্দিরটি স্থানেশ্বর মহাদেবের। মন্দিরে বিগ্রহ বলতে শিবলিঙ্গ। এঁরই নাম স্থানেশ্বর মহাদেব। এটি প্রাচীন। পৌরানিক যুগে এই তীর্থ প্রসিদ্ধ ছিল স্থানুতীর্থ নামে।

কথিত আছে, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের আগে পঞ্চপাণ্ডবকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ এসেছিলেন এই তীর্থে। পুজো আরাধনা করেন স্থানেশ্বর মহাদেবের। আশির্বাদ লাভ করেন কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ বিজয়ের।

Share
Published by
Sibsankar Bharati

Recent Posts