তিরুবনন্তপুরমের শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দির, ফাইল ছবি
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মন্দিরেও এবার অর্থ সমস্যা। গত ২ বছরের পরিস্থিতিতে মন্দিরের রোজগার কমেছে। ফলে মন্দির পরিচালন করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মন্দির কমিটিকে। এই ব্যয়ভার নির্বাহ করতে এবার অর্থ সাহায্য চেয়ে আবেদন করল তারা।
রাজ্যসরকারের কাছে অর্থ সাহায্য চাওয়ায় এগিয়ে এসেছে সরকারও। মন্দির কমিটিকে ২ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া মঞ্জুর করেছে সরকার। যা ১ বছরের মধ্যে মন্দির কমিটিকে ফেরতও দিতে হবে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মন্দির এখন কেরালার তিরুবনন্তপুরমের শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দির। যে মন্দিরের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি! যার মধ্যে অধিকাংশটাই সোনা, রূপো ও হিরে।
মন্দির কমিটির ৬টি লকার রয়েছে। তারমধ্যে অবশ্য আইনি জটিলতায় ৫টি বন্ধ রয়েছে। ১টি খোলা। মন্দিরটি পদ্মনাভস্বামীর অর্থাৎ বিষ্ণু ভগবানের।
ত্রিবাঙ্কুরের রাজাদের পরিবারের অধিষ্ঠাতা ছিলেন পদ্মনাভস্বামী। তাঁকে সামনে রেখেই প্রতিষ্ঠিত হয় এই মন্দির। মন্দিরে বর্তমানে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ২০০ জন কর্মচারি রয়েছেন।
মন্দিরের মাসিক খরচ ১ কোটি টাকার মত। যার মধ্যে মাইনে যেমন রয়েছে, তেমনই যাঁরা এখানে কাজ করতেন, এখন অবসর নিয়েছেন তাঁদের পেনশনও রয়েছে।
এই অর্থ ২ বছর আগে মন্দিরে হওয়া দান থেকেই উঠে আসত। কিন্তু এখন তা হচ্ছেনা। ফলে বিশ্বের ধনীতম মন্দির হয়েও মন্দির কমিটির হাতে মাসিক মন্দির পরিচালনের টাকা কম পড়ছে। যে জন্যই কেরালা সরকারের কাছ থেকে নিতে হচ্ছে ঋণ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা