স্পেনের সেটেনিল দে লা বোদেগাস শহর, ছবি – সৌজন্যে – ফ্লিকার – @Matías Callone
পাথরের খাঁজ আদিম যুগ থেকেই মানুষের আশ্রয়স্থল। গুহা ছিল মানুষের প্রথম বাড়ি। সেসব ছেড়ে মানুষ এখন সিমেন্টের ঘরবাড়িতে থাকা প্রাণি। কিন্তু প্রকৃতির পিছুটান বোধহয় অত সহজে ছাড়া যায়না।
তাই এখনও পৃথিবীতে এমন এক শহর রয়েছে যেখানে পাথরের খাঁজে রয়েছে কংক্রিটের বাড়ি। গুহায় রয়েছে সাজানো ঘর। এখানে পাথর অনেক জায়গায় ঝুলে এসেছে। ফলে পাথরের বিশাল অংশ মাথার ওপর ছাতা হয়ে থাকে। তলাটা ফাঁকা।
সেই ফাঁকা অংশকে কাজে লাগিয়ে ফেলেছেন মানুষ। পাথরের ঝুলে থাকা ছাদ থেকে তলার পাথুরে মাটি পর্যন্ত অংশে দেওয়াল তুলে দিয়েছেন তাঁরা। দেওয়ালের মধ্যে দেওয়াল গেঁথে তৈরি হয়েছে একাধিক ঘর। যেখানে দিব্যি সংসার নিয়ে মানুষের বাস।
আবার অনেক ক্ষেত্রে এখানে গুহাকেও কাজে লাগিয়ে ফেলেছেন মানুষ। গুহার সামনেটা কিছুটা কংক্রিটে ঢেকে গুহার মধ্যেই ঘর বানিয়ে ফেলেছেন। সেখানেই বছরের পর বছর ধরে নিশ্চিন্তে জীবন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
স্পেনের সেটেনিল দে লা বোদেগাস শহর হল এমন এক তাজ্জব করে দেওয়া শহর যেখানে অলিগলির মাথাও পাথর দিয়ে ঢাকা। আর সে পাথর প্রকৃতির দান। কোনও মানুষের তৈরি নয়। মানুষ কেবল পাথরের তলায় সারি দিয়ে ঘর বানিয়েছে।
২ ধারে ঘর, মাঝখান দিয়ে রাস্তা। শহরটা পাহাড়ি জায়গায়। ফলে সিঁড়ি দিয়ে শহরের বিভিন্ন দিকে ঘোরা যায়। কোথাও উঁচু তো কোথাও নিচু। তবে এ শহর এমনভাবে তৈরি সেটা দেখতেই অনেকে হাজির হন এখানে।