SciTech

ওড়ার সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ফুটো করে দিল এক মহাকাশযান

অবশ্যই এই খবর খুব সুখের হতে পারেনা। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের স্তরে ফুটো করে উড়ে গেল একটি মহাকাশযান। এই কাণ্ড কোন মহাকাশযান করেছে তাও জানা গেল।

Published by
News Desk

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। যা আদপে বহির্বিশ্বের যাবতীয় ঘাতপ্রতিঘাত সামলে দিয়ে পৃথিবীকে রক্ষা করছে। পৃথিবীর রক্ষাকবচ বলা যেতেই পারে একে। বায়ুমণ্ডলের যে স্তরগুলি সম্বন্ধে সকলের জানা সেগুলি হল, সবচেয়ে নিচের স্তর ট্রোপোস্ফিয়ার। তার ওপর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। এরপর মেসোস্ফিয়ার। তার উপরে থার্মোস্ফিয়ার বা আয়নোস্ফিয়ার এবং সব শেষে এক্সোস্ফিয়ার।

এই আয়নোস্ফিয়ার থাকে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০ কিলোমিটার উপর থেকে ৪০০ কিলোমিটার উপর পর্যন্ত। নাসা এই স্তরকেই মহাকাশের সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের সীমা বলে মনে করে।

গত ১৯ জুলাই ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ স্পেস স্টেশন থেকে ফ্যালকন ৯ রকেট ছোঁড়ে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স। মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানী জেফ বুমগার্ডনার এই উড়ান পর্যালোচনা করেন।

জেফ বুমগার্ডনার উড়ানের ছবি দেখে দাবি করেছেন, এই রকেট যখন তার দ্বিতীয় স্তরের জ্বালানির ব্যবহার শুরু করে মাটি থেকে ২০০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার উপরে তখন একটি লাল আলোর মত অ্যারিজোনার আকাশে নজর কাড়ে জেফের।

রকেট থেকে বেরিয়ে আসা উপাদান ও অক্সিজেন আয়নের বিক্রিয়ায় লাল আলো সৃষ্টি হয়। যা ফুটো করে আয়নোস্ফিয়ারকে। জেফের দৃঢ় ধারণা এই সময়ই ফ্যালকন আয়নোস্ফিয়ারে একটি ফুটো করে দিয়েছে। যদিও এই ফুটো সাময়িক। তবে এই ফুটো কিন্তু জিপিএস ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করবে। জিপিএস সামান্য ভুল তথ্য দিতে পারে।

প্রসঙ্গত আয়নোস্ফিয়ার আয়ন নামে তড়িতাহিত কণা দ্বারা পূর্ণ। যা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk
Tags: EarthSpaceX

Recent Posts