World

পাশে কেউ নেই, বাড়িতে একা, এই একাকীত্ব কাড়ল ৩ হাজার ৬০০ প্রাণ

একাকীত্ব মানুষকে ক্রমশ মানসিক অবসাদের দিকে ঠেলে দেয়। পাশে কেউ নেই, এই ভাবনা তাঁদের গিলতে আসে। পরিস্থিতি কতটা চরমে পৌঁছেছে এই দেশের ছবিটা তা পরিস্কার করল।

Published by
News Desk

একাকীত্ব কেউই চান না। কিছুটা সময় নিজের সঙ্গে কাটানো। কিছুটা সময় একা থাকা। কিছু চিন্তা ভাবনা করা। এটা এক জিনিস। আর পাশে কেউ নেই। একা থাকতে হচ্ছে এই বিশাল পৃথিবীতে। ক্রমশ জড়িয়ে ধরা এই একাকীত্ব মানুষকে ক্রমশ মানসিক অবসাদে নিয়ে গিয়ে ফেলে।

এটা বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে একরকম, আবার কমবয়সীদের ক্ষেত্রে আর একরকম। তবে কোথাও সকলের ক্ষেত্রেই সুরক্ষার অভাব কাজ করে। দক্ষিণ কোরিয়ায় দেখা যাচ্ছে প্রতিবছর এই একাকীত্বের কারণে জীবন যাওয়া বাড়ছে।

যেটা নজরকাড়া তা হল কেবল যে বয়স্ক মানুষজন একা হয়ে পড়ছেন তা নয়। ২০ থেকে ৩০ বছরের ছেলেমেয়েরাও ভীষণ রকম একাকীত্বে ভুগছেন।

গতবছরের যে হিসাব সরকারিভাবে সিওল সামনে এনেছে তা হল ৩ হাজার ৬০০ জন মানুষের প্রাণ কেড়েছে একাকীত্ব। যার মধ্যে ৫০ শতাংশ মধ্য বয়সী ও বয়স্ক মানুষ। আর বাকিটা ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ তরুণী বা যুবক যুবতী।

বয়স্কদের ক্ষেত্রে ছেলেমেয়ে না দেখা, বাড়িতে একা হয়ে পড়া, অনেকে দেশেই একটা বড় সমস্যা। যা তাঁদের মধ্যে একাকীত্ব বয়ে আনে। আবার ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে চাকরি না পাওয়া বা চাকরি চলে যাওয়ার ফলে একাকীত্ব দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্রমশ বেড়ে চলেছে।

একাকীত্বের নিরিখে কিন্তু সে দেশে একাকীত্বের কারণে প্রাণ যাওয়া বাড়ছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, অনেকের নানাধরনের মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে আবার কেউ কেউ তো একাকীত্বের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে নিজেকে শেষ করে নেওয়ার মত পথও নিচ্ছেন।

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার তরুণ ও যুবকদের মধ্যে এই একাকীত্বের হার কমাতে তাঁদের বিভিন্ন সংস্থায় যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। যেখানে তাঁদের চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হবে, তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk
Tags: South Korea

Recent Posts