শেষ দেখা দেখতে চেয়েছিলেন বোন, সেই চাওয়াই প্রাণ ফিরিয়ে দিল দিদির
বোন আসতে দেরি করছিলেন। তাই পরিবারের অন্যরা দিদির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পূর্ণ করে দিয়েছিলেন। তারপর হাজির হন বোন। সেটাই প্রাণ ফিরিয়ে দিল দিদির।
মহিলার তখন ৩০ বছর বয়স। কিন্তু তাঁর মৃগীরোগ ছিল। সেই মৃগীরোগই কেড়ে নেয় তাঁর প্রাণ। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন তাঁর দেহে প্রাণ নেই। মাত্র ৩০ বছর বয়সে এই অকাল প্রয়াণে তাঁর পরিবারের সকলে ভেঙে পড়েন। খবর যায় পরিজনদের কাছে।
তারপর তাঁর দেহ নিয়ে পরিবারের সকলে হাজির হন অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য। ওই মহিলার বোনের দূর থেকে আসার কথা। তিনি খবর পেয়ে যাত্রা শুরু করলেও তাঁর আসতে অনেক দেরি হচ্ছিল। তাই আর অপেক্ষা না করে ওই মহিলার পরিবারের অন্যরা তাঁর দেহ কফিনে বন্দি করে মাটির ৬ ফুট গভীরে প্রথা মেনে কবর দেন। তারপর মাটি দিয়ে যেমন কফিন ঢেকে ফেলা হয় তাই করা হয়।
এরপর কিছুটা সময় কেটেছে। তখনও কেউ কেউ গোরস্থান থেকে বেরিয়ে আসেননি। আচমকা সেখানে হাজির হন ওই মহিলার বোন। তিনি এসে ভগ্ন হৃদয়ে অনুনয় করতে থাকেন তাঁকে যেন শেষবারের জন্য তাঁর দিদিকে দেখতে দেওয়া হয়।
বোনের এই আকুতি ও দিদিকে শেষ দেখার ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে ফের মাটি সরিয়ে কফিনটি ওপরে তুলে আনা হয়। তারপর কফিন থেকে পেরেক সরিয়ে কফিনের ডালাটি খোলা হয়। কফিনের ডালা খোলার পর যা ঘটে তার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলেননা।
সকলেই স্থির করেছিলেন তাঁর বোন একবার দেখার পরই ফের কফিনটি মাটিতে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু কফিন খোলার পরই দক্ষিণ ক্যারোলিনার ইজি ডানবার নামে ওই মহিলা হঠাৎ কফিনে উঠে বসেন। বোনকে দেখে হাসেনও।
এই দেখে ভূতের ভয় পেয়ে ইজির কফিনের জন্য খোঁড়া গর্তে বেশ কয়েকজন পড়ে যান। অন্যরা অনেকেই ভয়ে ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন। ঘটনাটি অনেকদিন আগের। ১৯১৫ সালে ঘটা একটি ঘটনা। যা তারও বহু বছর পর অগাস্টা ক্রনিকল-এ প্রকাশিত হয়। তখন অনেকেই সেই ঘটনার কথা জানতে পারেন।
প্রসঙ্গত ইজি ডানবার ৭৭ বছর বয়স পর্যন্ত বহাল তবিয়তে বেঁচেছিলেন। সেদিন বোন দেরি করে না এলে তিনি কফিনের অন্ধকারেই দম বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতেন। সম্প্রতি এই ঘটনার কথা ফের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।













