World

আকাশে বিমান, গায়ে ঠান্ডা স্পর্শে ঘুরে পাইলট দেখলেন সামনেই সাক্ষাৎ মৃত্যু

যেকোনও যানের চালকের ওপর বাকিদের প্রাণ নির্ভর করে থাকে। আকাশে বিমান থাকাকালীন পাইলটই ভরসা। সেখানে পাইলটের যদি হৃৎস্পন্দন বন্ধ হওয়ার অবস্থা হয় তবে কারও রক্ষে নেই।

Published by
News Desk

আকাশে বিমান উড়ছিল নিজের ছন্দে। যাত্রী থেকে পাইলট সকলেই নিশ্চিন্তে ছিলেন। এমন সময় পাইলটের একটা ঠান্ডা স্পর্শে মনে হয় তাঁর জামায় জল পড়ছে হয়তো। হয়তো তাঁর জলের বোতল থেকে জল লিক করছে।

সেটাই দেখার জন্য তিনি পাইলটের আসনের নিচের দিকে তাকান। তাকানোর পর অবশ্য কিছুক্ষণের জন্য তাঁর হৃৎস্পন্দন স্তব্ধ হয়ে যায়। সামনেই সাক্ষাৎ মৃত্যু।

পাইলটের আসন থেকে যে তিনি পালাবেন তারও উপায় নেই। তাহলে বিমানটি দুর্ঘটনা গ্রস্ত হতে পারে। এদিকে না পালিয়েও উপায় নেই।

কারণ যাকে তিনি দেখতে পাচ্ছেন সেটি একটি অতি বিষধর কোবরা বা কেউটে। যার একটা ছোবল শরীর স্পর্শ করলে নিশ্চিত মৃত্যু। এই কোবরাগুলিকে বলা হয় কেপ কোবরা।

এই অবস্থায় যে কোনও মুহুর্তে ছোবল খেতে পারেন পরিস্থিতিতে ওই দক্ষিণ আফ্রিকার বিমানচালক মাথা ঠান্ডা রেখে বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করানোর জন্য তৈরি হন।

প্রিটোরিয়া মুখী ওই প্রাইভেট জেটে ৪ জন যাত্রী ছিলেন আর ছিলেন ওই পাইলট। তিনি প্রিটোরিয়া শহর পর্যন্ত না গিয়ে কাছের একটি বিমানবন্দরে বিমানটিকে অবতরণ করান। এই যে সময় লাগে এর মধ্যে পাইলটের সঙ্গে যে কোনও কিছু ঘটতে পারত। সাপটি তাঁর সিটের নিচেই বসেছিল।

বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর অতি সন্তর্পণে ওই পাইলট এবং যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়। তবে সর্প বিশারদরা আসার আগেই বিমানের মধ্যে থেকে ভ্যানিস হয়ে যায় সাপটি।

ওই পাইলটকে বীরের সম্মান জানানো হয়েছে। কারণ ওই অবস্থায় তিনি মাথা ঠান্ডা রেখে বিমানটিকে নিয়ে সঠিকভাবে অবতরণ করান।

Share
Published by
News Desk
Tags: South Africa

Recent Posts