কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মিত চিত্রে গ্রহাণু, প্রতীকী ছবি
২০২৪ সালে প্রথম বিষয়টি নজর কাড়ে বিজ্ঞানীদের। তাঁরা দেখেন একটি অতিকায় চেহারার গ্রহাণু ছুটে আসছে। যা পৃথিবীতে আছড়ে পড়লেও পড়তে পারে। ফলে তার দিকে কঠোর নজরদারি শুরু হয়।
অবশেষে ২০২৫ সালে পৌঁছে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হন যে ২০২৪ ওয়াইআর৪ নামে ওই গ্রহাণুটি যা সিটি কিলার নামে পরিচিত সেটি পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়ছে না। পৃথিবী নিশ্চিত হলেও চাঁদ কিন্তু এখনও ওই ১৫ তলা বাড়ির সমান গ্রহাণুটির ধাক্কার মুখে পড়তে পারে।
বিজ্ঞানীরা হিসাব কষে দেখেছেন গ্রহাণুটির যা অভিমুখ তাতে তার ২০৩২ সালে চাঁদের মাটিতে ধাক্কা মারার একটা সম্ভাবনা এখনও রয়েছে। আর যদি সেটা চাঁদে এসে ধাক্কা মারে তাহলে কিন্তু চাঁদে একটা আধ মাইল সমান অতিকায় গর্ত তৈরি হবে।
শুধু কি তাই! চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়ার পর প্রচুর পরিমাণে ছোট বড় পাথরের টুকরো ছিটকে বার হবে। কারণ সংঘর্ষ প্রবল জোরে হবে। চাঁদ থেকে পাথর এবং গ্রহাণুর পাথরের টুকরো ছিটকে বার হয়ে সোজা চলে যাবে মহাকাশে।
সেই টুকরোর অনেকগুলি আবার পৃথিবীর দিকেও চলে আসবে। সে সময় সেগুলি উল্কার রূপ ও গতি নেবে। সেসব উল্কার বৃষ্টি শুরু হবে আকাশে। যা পৃথিবীর মানুষ সহজেই আকাশের দিকে নজর করলে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন।
চাঁদে ওই গ্রহাণু আঘাত করলে সেটা দেখা না গেলেও উল্কা বৃষ্টি কিন্তু পৃথিবীর মানুষ নিশ্চিন্তে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। দেখার সুযোগ পাবেন এক মহাজাগতিক বিস্ময়। তবে সেটা হবে চাঁদে ২০২৪ ওয়াইআর৪ আছড়ে পড়লে তবে। যার সম্ভাবনা বিজ্ঞানীরা মনে করছেন ৪ শতাংশ।