শতাব্দীর সবচেয়ে লম্বা সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছেন বিশ্ববাসী, কবে ও কখন
১০০ বছরেরও কিছু বেশি সময়ের মধ্যে এত লম্বা সময়ের সূর্যগ্রহণ দেখার সুযোগ পাবেন না বিশ্ববাসী। ৬ মিনিটের ওপর সূর্য সম্পূর্ণ ঢেকে যাবে। নামবে অকাল অন্ধকার।

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য সম্পূর্ণ ঢাকা পড়ে যায় কিছুক্ষণের জন্য। তারপর হিরের ঝলক নিয়ে ফের উঁকি দেয়। ওই সময় সকাল হলেও দেখে মনে হয় সন্ধে নেমেছে। চারধারে অন্ধকার নেমে আসে।
সেই পূর্ণগ্রাস যেমন অবাক করা তেমনই মানুষ এমন এক পূর্ণগ্রাসের সাক্ষী হওয়ার জন্য উৎসুক হয়ে থাকেন। এমনই এক পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে পৃথিবী। যাকে শতাব্দীর সবচেয়ে লম্বা পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
সূর্য ঢাকা পড়ার পর ৬ মিনিট ২২ সেকেন্ড অন্ধকার হয়ে যাবে পৃথিবীর একাংশ। বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন বিশ্বের যেখান যেখান থেকে এই পূর্ণগ্রাস দেখতে পাওয়া যাবে সেই সব জায়গায় ৬ মিনিট ২২ সেকেন্ড অন্ধকার থাকবেনা।
একমাত্র মিশরের লাক্সার শহর এই পুরো সময় অন্ধকার হয়ে যাবে। এখন প্রশ্ন হল কবে হবে এই মহাজাগতিক বিস্ময়? এজন্য আর কিছুটা সময় বাকি। ২০২৭ সালের ২ অগাস্ট শতাব্দীর সবচেয়ে লম্বা সময়ের সূর্যগ্রহণটি দেখতে পাওয়া যাবে।
ভারতে থেকে দেখা যাবে কি? ভারত থেকে কিন্তু এই পূর্ণগ্রাস দেখতে পাওয়া যাবেনা। ভারতবাসী সেদিক থেকে এই শতাব্দীর বিস্ময় দেখা থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন। ভারতে সূর্যগ্রহণ হবে ঠিকই, তবে ভারতে তা পূর্ণগ্রাস হবেনা।
মোট ১১টি দেশ থেকে এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে পাওয়া যাবে। সেগুলি হল মিশর, স্পেন, মরক্কো, জিব্রাল্টার, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, সুদান, লিবিয়া, ইয়েমেন, ওমান, সৌদি আরব এবং সোমালিয়া। এই দেশগুলি থেকে এই বিরলতম সূর্যগ্রহণ দেখতে পাওয়া যাবে।
ফলে এখানকার বাসিন্দারা এই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারবেন। বিশ্বের বাকি অংশের মানুষ এটি চর্মচক্ষে প্রত্যক্ষ করতে চাইলে এইসব দেশের কোনও একটিতে পৌঁছে যেতে পারেন।
যেতে হলে মিশরের লাক্সারে হাজির হওয়াই ভাল। তাতে ৬ মিনিট ২২ সেকেন্ডই অন্ধকার অবস্থায় সকাল দেখা যাবে। চাঁদ ওই সময় পৃথিবীর খুব কাছে থাকার ফলেই এত দীর্ঘ সময় ধরে হতে চলেছে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। হিসাব বলছে ১৯৯১ সাল থেকে শুরু করে ২১১৪ সাল পর্যন্ত এত লম্বা সময়ের সূর্যগ্রহণ দেখা যাবেনা।