Let’s Go

আজও মা দুর্গার পায়ের ছাপ পাওয়া যায় বাংলার এই গ্রামে

এই দুর্গাপুজো ঐতিহ্যপূর্ণ। পুজোটি প্রাচীনও বটে। প্রতিবছর বিস্ময়কর ঘটনা দিয়েই শুরু হয় দেবী দুর্গার অষ্টমী পুজোর আয়োজন।

Published by
Sibsankar Bharati

বীরভূমের লাভপুর থানার অধীনে বাজিকর সম্প্রদায়ের গ্রামটি শীতলগ্রাম নামে প্রসিদ্ধ। ফুল্লরাপীঠের একটু আগেই ডান পাশে চলে গিয়েছে পিচের রাস্তা। কিছুটা যাওয়ার পর গ্রামের কাঁচা রাস্তা। প্রত্যন্ত গ্রাম। দূরত্ব ৬ কিলোমিটার।

বাজিকর সম্প্রদায়ের মানুষদের উদ্যোগে শীতলগ্রামের এই দুর্গাপুজো ঐতিহ্যপূর্ণ। পুজোটি প্রাচীনও বটে। সারাটা বছর বিভিন্ন গ্রামে বাজিকররা যাযাবরদের মতো ঘুরে ঘুরে দেখান নানান ধরনের বাজির খেলা। কষ্টের উপার্জন তাঁদের। সেই কষ্টার্জিত অর্থে সংসার চালিয়ে সকলেই সঞ্চয় করেন কিছু অর্থ। সেই অর্থ দিয়েই তাঁরা আয়োজন করেন শারদীয়া উৎসব।

২০১৭ সালে বাজিকরদের দুর্গামণ্ডপ, ছবি – শিবশংকর ভারতী

ছোট্ট টিনের চালার মন্দির। সামনে দাওয়া। মন্দিরের বাঁ পাশে তৈরি হচ্ছে বিশাল শিবমন্দির। তার পাশে আর একটি মন্দির। এটি বাগদিদের দুর্গামন্দির। তাদের উদ্যোগে দুর্গা পুজো হয় ফি বছর।

২০১৭ সালে নির্মীয়মাণ শিবমন্দির, ছবি – শিবশংকর ভারতী

প্রতি বছর বিস্ময়কর ঘটনা দিয়েই শুরু হয় শীতলগ্রামে দেবী দুর্গার অষ্টমী পুজোর আয়োজন। এই গ্রামে মায়ের থানে ছিটিয়ে দেওয়া হয় সিঁদুর। তার ওপরে পেতে দেওয়া হয় নতুন সাদা কাপড়। এর পর গ্রামের বাজিকররা দেবী দুর্গার উদ্দেশ্যে সমবেতভাবে আহ্বান জানান আকুল হয়ে। ক্রমাগত প্রার্থনায় দেবী দুর্গার সাড়া মেলে।

২০১৭ সালে বাগদিদের দুর্গামণ্ডপ, ছবি – শিবশংকর ভারতী

এক সময় তাঁদেরই চোখের সামনে দেবীর পায়ের ছাপ ফুটে ওঠে সাদা কাপড়ে। তারপরই শুরু হয় সন্ধিপুজো। বিজ্ঞানের যুগে এমন ঘটনা অতীতে ঘটেছে, আজও ঘটে। এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করা যায় প্রতি বছর মহাষ্টমী তিথিতে। — ছবি – শিবশংকর ভারতী

Share
Published by
Sibsankar Bharati