আল-ওয়ালিদ বিন খালেদ বিন তালাল আল সৌদ, ছবি – সৌজন্যে – এক্স – @allah_cure_dede
তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৫ বছর। সে সময় লন্ডনে এক ভয়ংকর গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন কিশোর রাজপুত্র। সেই গাড়ি দুর্ঘটনা তাঁর প্রাণ কেড়ে নেয়নি। কিন্তু তাঁকে পাঠিয়ে দেয় অনির্দিষ্টকালের জন্য গভীর নিদ্রায়। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় কোমা।
এই অবস্থায় ওই কিশোর রাজপুত্রকে ফিরিয়ে আনা হয় সৌদি আরবে। সৌদি রাজবংশের রাজপুত্রদের মধ্যে বয়সে সবচেয়ে বড় তিনি। ছেলের এই অবস্থা দেখে ভেঙে পড়েন বাবা।
চেষ্টার ত্রুটি না রেখে আমেরিকা এবং স্পেন থেকে সবচেয়ে নামকরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের এনে দেখানো হয় রাজপুত্রকে। কিন্তু কেউই কিছু করে উঠতে পারেননি। সৌদি রাজপুত্র আল-ওয়ালিদ বিন খালেদ বিন তালাল আল সৌদ-কে কোমা থেকে ফেরানো যায়নি।
এরপর থেকে তাঁর বয়স বাড়তে থাকে। কিন্তু ঘুম ভাঙে না। ভেন্টিলেশনে তাঁর বছর কাটতে থাকে। একটা সময় আসে যখন চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁর লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম খুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাঁর বাবা তাতে রাজি হননি।
বাবা প্রতিদিন ছেলের মাথার কাছে এসে বসে থাকতেন। যদি একবারের জন্য অন্তত চোখ খুলে তাকান তাঁর সন্তান। কিন্তু সেই দিন গত ২০ বছরে আসেনি। ২০ বছর পর ৩৫ বছর বয়সে অবশেষে সেই ঘুমের অধ্যায়ও শেষ হল।
চির ঘুমের দেশে চলে গেলেন সৌদি আরবের ঘুমন্ত রাজপুত্র। কারণ তাঁকে সৌদি আরবের মানুষ চিনতেন ঘুমন্ত রাজপুত্র বলেই। তাঁর বাবা নিজেই সন্তানের জীবনাবসানের কথা সমাজ মাধ্যম মারফত সকলকে অবগত করেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা