সৌদি আরবের আল নাসলা প্রস্তরখণ্ড, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
২টি প্রস্তরখণ্ড। অতিকায় যে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যা দেখে যে কারও মনে হতেই পারে যে কোনও প্রতিভাবান ভাস্করের হাতে অতি যত্নে তা নির্মিত হয়েছে। অনেক দিনের পরিশ্রমে এমন নিখুঁত একটি স্থাপত্য নির্মাণ সম্ভব। কিন্তু বাস্তবটা অন্য।
বাস্তব হল এটি কারও হাতে তৈরি নয়। এই অভিনব শিল্পকীর্তির ভাস্কর স্বয়ং প্রকৃতি। আর প্রকৃতি যখন কিছু যত্ন করে তৈরি করে তা মানুষের সাধ্যের অতীত হয়। এক্ষেত্রেও ঠিক তাই।
২টি পাথর এখানে একদম মুখোমুখি। মাঝে ফাঁকটা এতটাই কম যে তা একটি বিশেষ কোণ থেকে পরিস্কার হয় যে ফাঁক একটা আছে। ২টি প্রস্তরখণ্ড দেখে মনে হতে পারে একজন নারী একজন পুরুষ। তবে তারা চুম্বনরত!
এর উত্তর একমাত্র প্রকৃতিই দিতে পারে। আবার এটাও মনে হতে পারে যে প্রবল ঝগড়ায় তারা একেবারে মুখোমুখি। যেখানে ২টি মুখকে কল্পনা করা হচ্ছে সেখানে ২টি প্রস্তরখণ্ডই ৯০ ডিগ্রি কোণে সমান।
যেন কেউ ঘষে ঘষে ২টি পাথরের মুখের অংশকে মসৃণ করে দিয়েছে। প্রকৃতির হাতে গড়া এই অপরূপ শিল্পকীর্তির টানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন সৌদি আরবের টেমা ওয়েসিসে।
এই প্রত্যন্ত বালিময় মরু অঞ্চলের বুকে এমন এক শিল্পকীর্তি কীভাবে তৈরি হল তা আজও একটা রহস্য। যার সমাধান কেউ করতে পারেননি। তবে এই আল নাসলা প্রস্তরখণ্ড পৃথিবীর অন্যতম এক আশ্চর্যে পরিণত হয়েছে।